জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনায় দায়ীদের বিচারের দাবিতে পিরোজপুর মহিলা পরিষদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।বুধবার (২০মার্চ) সকাল ১০ ঘটিকায় পিরোজপুর গোপালকৃষ্ণ টাউন ক্লাবের সম্মুখে সড়কে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পিরোজপুরের উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত জেলা মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড সম্পাদক মোসা: মিনারা বেগম বলেন, “অবন্তিকা এক নিষ্ঠুর ষড়যন্ত্র ও সামাজিক অভিশাপের শিকার হয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। এটা বড়ই বেদনাদায়ক। এটা শুধুমাত্র নারী সংগঠন ও শিক্ষার্থীদের দায় নয়। এর পেছনে যাদের দায় তাকে দায় মোচনের জন্য তাদের এগিয়ে আসতে হবে। আজকে আমরা দেখছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ঘটনা ঘটার পর শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।এখানে শুধু শিক্ষার্থীদের নয়, শিক্ষকদেরও এর দায় নিতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে ৯% শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংঘটিত যৌন নিপীড়নের ঘটনার সঙ্গে জড়িত, বাকি ৯১% শিক্ষককে এসব শিক্ষকের অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।”প্রতিবাদ সমাবেশে মোসাঃ মিনারা বেগম এর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা পরিষদের কোষাধাক্ষ , জাতীয় হিন্দু মহাজোটের বরিশাল বিভাগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, দীপশিখা দাস। আডাব সভাপতি , সাংবাদিক জিয়াউল আহসান, পিরোজপুর গ্লোবাল টেলিভিশনের সাংবাদিক জুবায়ের আল মামুন, জাসদ নেতা চন্দ্রশেখর হালদার, ও কলেজ শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার, সহ বিভিন্ন পেশাজীবী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন বক্তারা বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহননের প্রতিকারের দাবিতে, সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান যৌন নিপীড়নের ঘটনা বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশাসনকে সোচ্চার হওয়ার দাবিতে আজকের সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। ।
সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠেও নারী শিক্ষার্থীরা আজ নিরাপদ নয়। যৌন নিপীড়নের ঘটনায় ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মতো অনেকেই বিষন্নতায় ভুগছে। তারাও যে আত্মহননের পথ বেছে নেবে না তার কোনো নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না।“বক্তারা আরো বলেন কোনো ঘটনা ঘটার আগেই পরিবার, শিক্ষকদের প্রতি সচেতন হওয়ার জন্য, তাদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দানের জন্য এবং বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা দূর করে অপরাধীদের দ্রুত কঠোরশাস্তি নিশ্চিতের ওপর জোর দাবি জানান।