ফরিদপুরের বই মেলায় শেষ দিনে স্বেচ্ছাসেবীদের ঢল,তালুকদার সানাউল্লাহ রচিত নিঃসঙ্গ পথিকের আত্মকথন বইটি ফরিদপুর জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের স্টলে মেলার শেষ দিনে পাওয়া গিয়েছিল,স্টলে আসার প্রায় ৩ঘন্টার মধ্যেই সকল বই শেষ হয়ে গিয়েছিল, ফরিদপুরের স্বেচ্ছাসেবীদের ঢলের কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন এই তালুকদার সানাউল্লাহ তিনি কারো শিক্ষক কারো আবার স্বেচ্ছাসেবী জগতের আইডল। শেষ দিনে কোন স্টলে তেমন ভিড় লক্ষ্য না করা গেলেও ফরিদপুর জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজ স্টলটি কানায় কানায় বই প্রেমিকদের উড়ছে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে।
পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক রাকিবের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আসলে আমি তালুকদার সানাউল্লাহ ভাইকে চিনতাম না, কিন্তু এখানে আসার পর পাঠকদের ভির লক্ষ্য করছি এবং তাদের মুখে মুখে সানাউল্লাহ ভাইয়ের নাম শুনছি, উৎসাহ নিয়ে বইটি পড়েছি, মোটিভেশনাল কথা গুলো শুনে মুগ্ধ হয়েছি।
এরপর লেখক তালুকদার সানাউল্লাহ সাথে ফোনযোগে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমাদের ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন থানার গাজীরটেকের সন্তান জাহিদ ভাই শত চেষ্টা করেও তার চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে পারতেছে না।আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম তখন অনেক বড় ভাই, বড় আপুর আব্বু আম্মুর চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে আমরা দলবেঁধে বাক্স করে টাকা তুলতাম। আমি ওইভাবে টাকা চাই না আমার এই বইয়ের সব লভ্যাংশই আমি জাহিদ ভাইয়ের পিছনে ব্যয় করবো, আর্থিকভাবে জাহিদ ভাইকে সাহায্য করতে চাইলে অবশ্যই সরজমিনে গিয়ে সাহায্য করতে পারবেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় তালুকদার সানাউল্লাহ মানুষের বিপদে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন, প্রতিদিনই তার ফেসবুক ভেরিফাই আইডি থেকে রক্তের রিকোয়েস্ট দেখা যায়,জানা যায় ১৪ বছর যাবত মানুষকে রক্ত ম্যানেজ করে দিচ্ছেন এই সানাউল্লাহ, পরবর্তীতে বাধনের উপদেষ্টা আরিফা ইসলাম লাখি বলেন সানাউল্লাহ ভাই পুলিশে চাকরি করে এত ব্যস্ত থাকার পরও মানুষের রক্ত থেকে শুরু অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে এটা আমাকে ভাবায় এবং অবাক করে তালুকদার সানাউল্লাহ আমাদের স্বেচ্ছাসেবীদের অনুপ্রেরণার একটা নাম।