স্কাইডাইভিং – রোমাঞ্চের এক অপরূপ খেলা, যেখানে মানুষ পাখির মতো উড়ে বেড়ায় নীল আকাশে। এই রোমাঞ্চে মাতোয়ারা এক বাংলাদেশি সাহসী, আশিক চৌধুরী।আগামী মে মাসে, আশিক ৪১ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ে যাওয়া বিমান থেকে লাফ দেবেন। তার পিঠে থাকবে প্যারাস্যুট, আর হাতে আমাদের গর্বের লাল-সবুজ পতাকা। তার লক্ষ্য, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস গড়া।
এই সাহসী পদক্ষেপের জন্য আশিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ এয়ারফিল্ডে। কারণ, সাধারণত বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ ৩৫ হাজার ফুটের নিচ দিয়ে চলাচল করে। এর চেয়েও উঁচুতে উঠতে বিশেষায়িত বিমান এবং অনুকূল আবহাওয়ার প্রয়োজন, যা এই এয়ারফিল্ডে পাওয়া যায়।চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করলেও আশিকের বেড়ে ওঠা যশোরে। সিলেট ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে ভর্তি হন। স্নাতক শেষে একটি বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করেন।
২০১২ সালে আশিক প্রথমবার স্কাইডাইভিং করেন। যুক্তরাজ্যের ব্র্যাকলি শহরের হিনটন স্কাইডাইভিং সেন্টারে দুজন প্রশিক্ষিত স্কাইডাইভারের সহায়তায় তিনি এই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা লাভ করেন।২০১৪ সালে আশিক একটি প্রাইভেট পাইলট প্রশিক্ষণ স্কুলে ভর্তি হন। এক বছরের প্রশিক্ষণ শেষে তিনি একজন পাইলট হিসেবেও যোগ্যতা অর্জন করেন।
আশিক চৌধুরীর স্কাইডাইভিংয়ের প্রতি আগ্রহ এবং সাহসিকতা আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণা। তার এই অসাধারণ প্রচেষ্টা সফল হোক, আকাশের কোলে লাল-সবুজের পতাকা উড়ুক উঁচুতে।