বরগুনার তালতলীতে জমি-জমার বিরোধে আপন খালাকে হত্যা করে তাঁর কানের রিং বিক্রি করে সহযোগী খুনিকে পালাতে সহায়তা করেন মালেক (৩৮) নামের এক গ্রাম পুলিশ। ওই ঘটনায় শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার কচুপাত্রা বাজার থেকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রাম পুলিশ মালেককে গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।
এর আগে শুক্রবার রাতে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মুল অপরাধী করিম খাঁনকে মোংলা পৌরসভা এলাকা থেকে আটক করা হয়। দীর্ঘদিন পরে হত্যার আসল রহস্য উন্মোচন হওয়ায় সাফিয়ার পরিবার সঠিক বিচারের দাবি করেন।
হত্যার মূল আসামি করিম খান ডিবি পুলিশকে জানায়, গ্রাম পুলিশ মালেকের সাথে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ ছিল তাঁর খালা সাফিয়া বেগমের। সেই জমি দখল করতে ঘাতক করিমকে ৪০ হাজার টাকায় ভাড়া করেন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রাম পুলিশ আ. মালেক। ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে সাফিয়া বেগম তাঁর বাড়ির সামনে আসলে তাকে ধরে পাশের সূর্যমুখী ক্ষেতে নিয়ে যায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রাম পুলিশ মালেক ও ঘাতক করিম। সেখানে খালা সাফিয়াকে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে আ. মালেক ও করিম।
হত্যা করে খালের পাশে মাটি চাপা দিয়ে পুঁতে রাখে। পরে মালেক নিহত খালা সাফিয়ার কানের স্বর্ণের রিং বিক্রি করে ঘাতক করিম খানকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা ও পরে আরো ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে। বাকী ১৫ হাজার টাকা আর পরিশোধ করেনি।বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বশিরুল আলম মুঠোফোনে বলেন, বিভিন্ন সোর্স ও ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহার করে তালতলীর সাফিয়া বেগম হত্যাকাণ্ডের মূল ঘাতক করিম খাঁনকে মোংলা পৌরসভা এলাকা থেকে আটক করি।
ঘাতক করিমকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী গ্রাম পুলিশ আ. মালেকের নাম জানতে পারি। ঘাতক করিমের আটকের সংবাদে মালেক পালিয়ে যাবার সময় কচুপাত্রা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্বে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।