পিরোজপুর ভান্ডারীয়ার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণ ও প্রবেশপত্র বিতরণ বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় উপজেলার ইকরি ইউনিয়নের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০২৪ সালের এসএস সি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত টাকার চেয়ে বিভিন্ন অজুহাতে ২/৩ গুণ বেশি টাকা আদায় করা হয়েছে।২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ বাবদ বরিশাল শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রতি পত্র ফি ব্যবহারিক ফি একাডেমিক ট্রান্সক্রিল্ট ফি সনদ ফি এবং অন্যান্য সকল বিষয়হ সর্বসাকুল্য প্রতি ছাত্র ১৮১৫টাকা এবং প্রবেশপত্র বাবদ ৪৯০ টাকা মোট ২৩০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ইকরি ইউনিয়নের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম আমিনুল হক ২০২৪ সালের ৬১ জন এস এস সি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩৬০০ টাকা থেকে ৫২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছেন।
এছাড়া ফরম পূরণের পরে ছাত্রদের কোচিং করানোর নাম করে ছাত্রপতি পনেরশ টাকা বাধ্যতামূলক আদায় করলেও কোন কোচিং করানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন একাধিক অবিবাহক। এদিকে পরীক্ষাথিদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র ফি ও বিদায় অনুষ্ঠানের নাম করে প্রত্যেক ছাত্রদের কাছ থেকে আরও ১২০০ শত টাকা আদায় হচ্ছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ছাত্র অভিভাবকরা। এ সকল অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঐ স্কুলের বর্তমান সভাপতি শাহনাজ পারভিন ও ইকরি ইউনিয়ন পরিষদের ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন হাওলাদার ও মোঃআনোয়ার হোসেন বাচ্চু।ইকরি ইউনিয়নের মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক এ কে এম আমিনুল হক অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব ইয়াসিন আরাফাত রানা বলেন. ইকরি ইউনিয়নের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি.তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।