1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
খুলনা কেএমপির হরিণটানা বাবলু দত্ত হত্যায় সম্পৃক্ত ২ জন আসামী গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার খুলনায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বরগুনায় ৭ ভুয়া ডাক্তার আটক – ৩ জনকে ১ লাখ টাকা করে জড়িমানা বরিশালে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) সদস্য ফরম ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের শুভ উদ্ভোদন নাউ ডোবা গোল চক্করে শরীফ হোটেল কম দামে ঘরোয়া স্বাদের খিচুড়ির জন্য উপচে পড়া ভিড় নিখোঁজের ২১ ঘন্টার পর মাদারীপুরের শিবচরে পুকুর থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী মরদেহ উদ্ধার আক্কেলপুরে বিএনপির ৩১ দফা প্রচারে সাবেক ডিসি আব্দুল বারীর বর্ণাঢ্য পথযাত্রা ও জনসমাবেশ মাদারীপুরে বিষাক্ত সাপে কাটা গৃহবধূকে দিনভর ওঝার ঝাড়ফুঁক।হাসপাতালে নিতে দেরি হওয়ায় মৃত্যু নাচোলে চাঞ্চল্যকর রাজু হ’ত্যায় জড়িত ৩ জন আটক ধর্মপাশায় গ্রাম আদালত বিষয়ক ক্যাম্পাইন অনুষ্ঠিত

ঐতিহ্য ধরে রাখতে হাবিবউল্যা কলেজ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে পিঠা উৎসব

আতিকুর রহমান
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে
আমাদের দেশে বছরের বিভিন্ন ঋতুতে বিশেষ বিশেষ পিঠা খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তাছাড়া বাড়িতে অতিথি এলে কম করে হলেও দু’তিন পদের পিঠা খাওয়া গ্রামবাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত। কালের বিবর্তণে এ ঐতিহ্য এখন ম্লান হয়ে আসছে। তবে শীত এলে বাংলার ঘরে ঘরে এখনো পিঠা তৈরির উৎসব শুরু হয়। অগ্রহায়ণের নতুন চালের পিঠার স্বাদ সত্যিই বর্ণনাতীত। শীতের পিঠার স্বাদের কথা বলতে গিয়ে অনেকেই ছন্দে ছন্দে বলেন, ‘শীতের পিঠা ভারি মিঠা’। চুলার পিঠে বসে পিঠা খাওয়ার শৈশব স্মৃতি সবারই কম বেশি রয়েছে। ‘পৌষ-পার্বণে পিঠা খেতে বসে খুশিতে বিষম খেয়ে, আরও উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি খেয়ে।’- কবি সুফিয়া কামাল তার কবিতায় পিঠা খাওয়ার দৃশ্য এভাবেই তুলে ধরেছেন।এক সময় শুধু গ্রামের মানুষই পিঠা খেত। শহুরে ব্যস্ততার কারণে পিঠার স্বাদ নিতে নগরজীবীদের কেউ গ্রামে গিয়ে পিঠা খেয়ে আসতো। অথবা গ্রাম থেকে শহরে বসবাসকারী প্রিয়জনদের জন্য পিঠা তৈরি করে পাঠাতো কেউ কেউ। কিন্তু এখন সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে সেই দৃশ্যপটও আমূল বদলে গেছে।   কালের বিবর্তণে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য  ধরে রাখতে এবার থেকে শুরু হয়েছে, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে ১৯-৯৪ সালের স্থাপিত  হাবিব উল্যা কলেজ,  সময়ের কারণে কলেজ থেকে হারিয়ে গেছে অনেক চিত্র, আবারো নতুন দাঁড়ায় নতুন রূপে নিয়ে আসতে, এই শীত মৌসুমে হাবিব উল্যা  কলেজের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে  চালু করা হলো  পিঠা উৎস। হাবিব উল্যা কলেজ মাঠের পিঠা উৎসবের,  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাবিব উল্যা কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা, শরীয়তপুর ০২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য  এবং শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি, ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, সখিপুর ও নড়িয়ার মা মাটি মানুষের  নেতা , আলহাজ্ব শফিকুর রহমান কিরণ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সময়ের কারণে কলেজ থেকে  ১৭ বছর হারিয়ে গেছে অনেক চিত্র, আবারো নতুন দাঁড়ায় নতুন রূপে নিয়ে আসতে, এই শীত মৌসুমে হাবিব উল্যা  কলেজের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে  চালু করা হলো পিঠা উৎস। আমরা শীতের আমেজের মত, উন্নয়নের আমেজ পাচ্ছি, এই কলেজ অচিরেই  স্তন পরিবর্তন হবে, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে, একটা উৎসবমুখর পরিবেশ, তারই ধারাবাহিকতায় আজকে এখানে পিঠা উৎসবের আয়োজন চলছে। এই অঞ্চলের মা বোনেরা,  বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানিয়ে থাকে, আমরা এটা পছন্দ করি, সেই উৎসবগুলো আমরা এখানে করতে পারি নাই, আজকে এই যাত্রা শুরু হল, আমরা বিশ্বাস করি, এই
৮ ই জানুয়ারি, তারিখটি নির্ধারন রেখে, এই পিঠা উৎসবের আয়োজন অব্যাহত থাকবে, তবে এই উৎসব এক দিনের জন্য নয় ৮ তারিখ থেকে শুরু করে তিন দিন থাকবে, আর এই থানার বাহির থেকেও যদি কেউ এই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে চায়,  তাকে স্টোল দেওয়া হবে।  এবং তাদের সাথে সমন্বয় করে, এই উৎসবকে আরো আনন্দ  মুখর সৃষ্টি করার জন্য আহ্বান জানান, তিনি পিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানান, কোন শিক্ষা  প্রতিষ্ঠান নিয়ে, ধংশে মেথে ওঠা উচিত নয়। এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করা, একটা সমাজকে সহযোগিতা করা, একটা দেশকে সহযোগিতা করা, বিশ্বকে সহযোগিতা করা, যে দেশের শিক্ষার হাড় যত বেড়েছে, সেই সে অন্যায়ের প্রবণতা কমেছে, অতএব  জাতি, সমাজ, রাষ্ট্রকে শিক্ষিত করতে হবে,  এবং তার এই বার্তা প্রচারের জন্য সবাইকে আহ্বান জানান,  তিনি আরো জানান, এই অঞ্চলটা হাজী শরীয়তউল্লাহ (রাঃ) এর অনুসারী হওয়ায়,  তাদের বংশের যারা আছেন, তাদের  পরামর্শ অনুযায়ী আমরা ৭-৮ বছর ধরে এইখানে যে মেলাটি হতো, সেটা বন্ধ করে দিয়েছি, তবে এই মেলাটি আর চালু করার চিন্তা আমাদের নেই। আর ফুটবল খেলা চলমান থাকবে, এবং আমাদের ইচ্ছা আমাদের স্বপ্ন, কলেজের পিছনে আমরা, বাস্কেটবল খেলার জন্য একটি মাঠ স্পোর্টস ক্রিয়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের একটি প্ল্যান আছে, বাস্কেটবল খেলার মাঠ তৈরি করে দেবেন, এবং সে ক্ষেত্রে আমার স্বপ্ন আমি বাস্তবায়ন করতে , বাস্কেট,  ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, সাথে লং টেনিস, এই অঞ্চলের ছেলে মেয়েদের কো শিখানোর স্বপ্ন দেখি। ঐতিহ্যবাহী পিঠা তৈরি করে ভোক্তাদের জন্য অপেক্ষা করেন।শীতের মজাদার পিঠার মধ্যে রয়েছে ভাপা, পাটিসাপটা, পাকন, পুলি, মিঠা, ক্ষীরপুলি, নারকেলপুলি, আনারকলি, দুধসাগর, শিমফুল, মুখ শালা, পুলিভাপা, চমচম পিঠা, অপরাজিতা পিঠা, মাংশ পিঠা, ঝিনুক পিঠা, নকশি পিঠদ, পেচানোপিঠা, চক্কর পিঠা, এবং চিতই প্রভৃতি।  তবে দোকানে চিতই ও ভাপা পিঠা ছাড়া অন্য পিঠা তেমন একটা পাওয়া যায় না। স্বল্প আয়ের মানুষরাই মূলত এই পিঠা খেয়ে থাকেন।শীতের সকালের কুয়াশা কিংবা সন্ধ্যার ঠান্ডা বাতাসে ভাপা পিঠার গরম আর সুগন্ধি ধোঁয়ায় মন ব্যাকুল হয়ে যায়। সরষে বা ধনে পাতার বাটা অথবা শুঁটকির ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা মুখে দিলে শরীরের শীত অনেকটাই কমে যায়। তাই বলা যায়, পিঠা ছাড়া শীত সত্যিই জমে না। এসময় উপস্থিত ছিলেন,  উক্ত কলেজের  শিক্ষক শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীরা, অনান্যদের উপস্থিত ছিলেন, মোস্তাক আহমেদ মাসুম বালা, সভাপতি সখিপুর থানা  যুবদল।  কামরুল হাসান রাজিব সরদার, সাধারণত সম্পাদক সখিপুর থানা।  ফয়জুল ইসলাম সরদার,আহবায়ক সখিপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল। নিহান মাহমুদ সরদার  সাবেক সভাপতি সখিপুর থানা ছাত্রদল।  পিএনপি’ ও সহযোগী অঙ্গ  সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com