আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কড়াইল বস্তিতে একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেই চলছে। সম্প্রতি রাজধানীর কড়াইল বস্তির একটি চায়ের দোকানে পাওনা টাকা চাওয়ায় আওয়ামী লীগ কর্মী তাসলিমা বেগমকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা।
হামলার ঘটনায় গত ৬ ফেব্রুয়ারী তাসলিমা বেগমের ছোট বোন নাসিমা ২৭ জনকে অভিযুক্ত করে বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন- এ.আর মোস্তফা, জামাল মাস্টার, পাপ্পু, বাবু, খোকন, রেশমি, রুবেল, মোঃ আঃ মালেক, আলী, মোসাঃ নার্গিস, সাবিনা আক্তার, ইসমাইল, খলিল, মনির, ইমন, কাইয়ুম, মাঈনুদ্দিন, মুসা, টুটুল, শহীদুল, আরিফ, ফিরোজা বেগম, শিউলি, মোঃ হায়দার, শিমুল, ফুলমিয়া ও চম্পা।
নাসিমা অভিযোগ করেন, পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমার বড় বোন তাসলিমা বেগম ও বড় ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী চাপাতি, রড, হাতুড়ি, চাকু নিয়ে হামলা করে অভিযুক্তরা। হামলার মূল পরিকল্পনাকারী জামাল মাস্টার। হামলাকারীরা তাসলিমাকে কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হামলার সময় হামলাকারীরা তাসলিমা বেগমের স্বর্নের কানের দুল, চুরি, চেইন যেগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য মোট প্রায় তিন লাখ টাকা এবং দোকান কেনা বাবদ ব্যাগে থাকা নগদ তিন লাখ পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
মামলা দায়েরের পর তাৎক্ষণিক জামাল মাস্টারসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে বনানী থানা পুলিশ। বাকি অভিযুক্তরা ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
যেখানে ঘটনা ঘটেছে বনানী থানাধীন স্যাটেলাইট টিএন্ডটি আদর্শনগর ইমনের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে হামলার সত্যতা পাওয়া যায়। তাসলিমা বেগমের উপর হামলায় অংশ নিতে দেখা যায় অভিযুক্তদের।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তাসলিমা বেগম ও জামাল মাস্টার দু’জনেই কড়াইল স্যাটেলাইট ৩নং ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, মূলত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাসলিমা বেগমের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাদের দু’পক্ষের বিরোধ বহু পুরোনো। এর আগেও তাদের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাদের এখনই না থামালে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে।