শুনতে খারাপ লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নে
গতকাল ৪ঠা মার্চ রোজ সোমবার দুপুর ১ টার সময় বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়ন পরিষদ মনিরাম বাজার সংলগ্ন কাচিয়া মাধ্যমিক স্কুলের পিছে বয়াতি বাগানে সরকারি ১২ বস্তুা চাল পড়ে আছে, তাই জব্দ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রথমে ঔ চালের মালিক পাওয়া না গেলেও তাৎক্ষণিক ছুটে আসেন টবগী ইউনিয়নের সচিব কালিমুল্লাহ এবং ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো: সাদেক হোসেন ও গ্রাম পুলিশের ৩/৪ জন সদস্য।
স্থানীয় উত্তপ্ত জনতার সাথে পরিষদের মেম্বার এবং গ্রাম পুলিশের বাকবিতন্ডায় হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাওয়ায় ঘটনাস্থলে আসেন টবগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিমউদদীন হাওলাদার, পরে কিছুটা শান্ত হলে চাল পরিষদে নিয়ে আসেন। ১২ বস্তা চালের মধ্যে পাওয়া যায় ১০ বস্তা, বাগান থেকে পরিষদ পর্যন্ত নিতে গিয়ে ২ বস্তা নেই।
একটু পরেই হাজির সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হাসান, তিনি এসে জব্দকৃত চাল ঔ পরিষদেই চেয়ারম্যানের কাছে রেখে দিতে বলেন। পরে এই কর্মকর্তা সাধারণ মানুষদের বুঝিয়ে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। তিনি বলেন, যেহেতু এখনো চালের প্রকৃত মালিকের সন্ধান আমরা পাইনি, তাই আমরা সরাসরি কাউকে দোষারোপ করতে পারবো না। তিনি আরও জানান- তদন্ত করার জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে,
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দা জসিম জানান, প্রথমে আমি চালের বস্তুা মাথায় করে নাম না জানা একজনকে দেখতে পাই তাকে আটকিয়ে জিজ্ঞেস করলে সে বলে এগুলো ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নুরনবী পাটোয়ারীর চাল। আমার নয়,আমাকে নিতে বলছে তাই নিতেছি। অথচ সেই মেম্বার ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
অভিযুক্ত মেম্বার নুরনবীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি মসজিদ নামাজ পড়তে এসেছি কখন ঘটেছে এই ঘটনা আমি জানি না। তবে পাল্টা প্রশ্নে আটক ব্যক্তি আপনার চাল বলতেছে এই কথা শুনে শরীরে কাপুনি চলে আসলেও মোবাইলে কল আসে বলে প্রস্তান করেন তিনি।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মোসলেউদ্দিন জানান, আমরা কত অভাবের সংসার চালাই, দিন আনি দিন খাই আমরা চাল পাই না চাল পরে থাকে বাগানের কলা গাছের নিচে। এগুলো চেয়ারম্যান ও মেম্বার এবং সচিবরা মিল্লা ভাগ করে খায়।
ইতিপূর্বেও এই ইউনিয়নে রাতের আধারে চাল সাপ্লাই এর সময় জনতার হাতে আটক হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাময়িক জরিমানা করে চাল জব্দ করে নিয়ে যান।
অন্যদিকে একই উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নেও ঘটেছে চোখ কপালে উঠার মত ঘটনা, তবে ভয়ে মুখ খুলছেন না কেউ।
সাচড়া ইউনিয়নের হানিফ কয়েল রোড চৌধুরী বাড়ির কাছে মাঝির দেকানের বাগানে প্রায় ২০০ বস্তা চালের খবর পাওয়া যায়।
এ বিষয় জানতে চাইলে, সাচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফোন রিসিভ করেনি, তবে ঔ ইউনিয়নের সচিবের কাছে কালবেলা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার মত আমাকে অনেকেই জিজ্ঞেস করেছে তবে আমি কিছু জানি না।
বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের ওসি তদন্তের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয় আমার জানা নেই।