জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নে টিসিবি’র পণ্য বিতরণে আবারও অনিয়ম। এর আগেও বেশ কয়েকবার দিগপাইত ইউনিয়নে টিসিবি’র পণ্য বিতরণে অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, গত ২৪ মার্চ, রবিবার ছোনটিয়া বাজারে টিসিবি ডিলার মীম এন্ড পুস্প এন্টারপ্রাইজ ১১১৪ জন কার্ডধারী উপকার ভোগীর মাঝে ৫৩৫ টাকা নিয়ে ৫ কেজি চাউল, ২ লিটার তৈল, ২ কেজি মসুরের ডাল ও ১ কেজি সোলা বুট বিতরণ করে। কিন্তু তারা ১১১৪ জন উপকার ভোগীর মধ্যে ৪১ জন কার্ডধারী উপকার ভোগীকে ৫ কেজি করে চাউল দিতে পারেনি। এছাড়াও ওই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ১২২১ নং কার্ডধারী মমতাজ বেগম, ১২৪৯ নং কার্ডধারী হানিফ উদ্দিন, ১২৪৭ নং কার্ডধারী শামীম হোসেন, ১২৮৯ নং কার্ডধারী জরিনা খাতুন, ১০৬৯ নং কার্ডধারী নাছির উদ্দীন, ১১২৩ নং কার্ডধারী সুমন মিয়া, ১২০০ নং কার্ডধারী ফুরকান আলীসহ মোট ৭ জনকে তারা কোন পণ্য না দিয়ে চলে যায়। কার্ডধারী বাদপড়া উপকার ভোগীরা জানান, আমরা রোজা নিয়ে ৩ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও পণ্য পাইনি।
কর্তব্যরত ট্যাগ অফিসারকে বিষয়টি জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি। ট্যাগ অফিসার শাহ আলমকে ফোন দিলে তিনি বলেন, পণ্য শেষ হয়ে গিয়েছিল তাই ৭ জন বাদ পড়েছে। আমি ডিলারকে সন্ধ্যার পরে ওই ৭ জনকে পণ্য দিতে বলে দিয়েছি। সন্ধ্যার পরে ডিলার (মীম এন্ড পুস্প এন্টারপ্রাইজ) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে জানা যায় তিনি বাদ পড়াদের পণ্য দেননি। তিনি আরও বলেন, ৪১ টি ব্যাগের মধ্যে ডাউলের পলিথিন ছিড়ে চাউল আর ডাউল মিশে যায় এজন্য ৪১ জনকে চাউল দিতে পারিনি। ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুর ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। সচেতন মহল বলছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরও টিসিবি’র ডিলারদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন না করার কারণেই তারা বারবার এভাবে অনিয়ম করে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।