টাকার বিনিময়ে এক স্বতন্ত্র প্রার্থী পক্ষে নেতাকর্মীদের ভোট দেওয়ার জন্য বলার ১০ মিনিটের একটি অডিও ক্লিপ ইতিমধ্যে ভাইরাল। গতকাল বুধবার দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী কর্মকান্ড জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ দল বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রেজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বিএনপি’র প্রাথমিক পদ সহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি দীর্ঘদিন যাবত আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। কিন্তু আমতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন ফকির আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আতাৎ করছেন এমন অভিযোগ দলীয় নেতা কর্মীদের। আন্দোলন জোরদার করতে গত ২৭ ডিসেম্বর সকল পর্যায়ে নেতা কর্মীদের তারা আত্মীয়র বাসায় ডেকে নেন।
ওই বৈঠকে জালাল উদ্দিন ফকির তার নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ হতে প্রস্তাব এসেছে তাকে ভোট দিলে প্রত্যেক ইউনিয়নে খরচ বাবদ এক লক্ষ টাকা করে দিবেন। এই মুহূর্তে নেতাকর্মীদের হাতে টাকা পয়সা নেই। পদ্মারী ছাত্রদল যুবদল ও বিএনপি নেতা কর্মীরা মাঠে নামতে পারবে না।তবে কর্মী ও সমর্থকগণ ভোট দিয়ে আসবে। এ সময় বিএনপির আহবায়ক তুহিন মির্ধা বলতে শোনা গেছে, এত অল্প টাকার জন্য কেন সমার্থক ও কর্মীদের ভোটকেন্দ্রে পাঠাবেন। এমন প্রশ্নের জবাবে জালাল উদ্দিন ফকির বলেন, আমার পেটে ক্ষুধা আছে। আন্দোলন সংগ্রামে কেউ কি পঞ্চাশ হাজার বা ১ লাখ টাকা দিতে পারবেন?পারবেন তো মাত্র পাঁচ বা দশ হাজার টাকা দিতে। ওই অডিওতে আরো বলতে শোনা গেছে কাফেরদের টাকা খাওয়া কি জায়েজ হবে।
৭ তারিখ নির্বাচন হলে ফোরকান মিয়া এমপি হবে তাতে আমাদের কোন ক্ষতি নেই। তিনি আরো বলেন, টাকা দুই ধাপে দিবে নির্বাচনের মাঝামাঝি সময় আর নির্বাচনের দিন। ওই অডিওতে আরো শোনা গেছে অ্যাডভোকেট জহির ওর রুস্তম ভাই আপনারা কি বলেন। ১০ মিনিটের ওই অডিওতে আরো অনেক গোপন রহস্য বেরিয়ে এসেছে। এই অডিও প্রকাশ হওয়ার পর নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
দলের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রকারী জালালউদ্দিন ফকির ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন নেতা কর্মীরা জালাল উদ্দিন ফকিরের এমন কার্যকলাপ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর নড়ে চড়ে বসে বিএনপির হাই কমান্ড। বুধবার দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী এমন কর্মকাণ্ডের জড়িত থাকায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কোভিদ রেজভীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে প্রাথমিক পথসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে জালালউদ্দিন ফকিরের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।