নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌর শহরের দক্ষিণ পাড়া এলাকার সুসং আশ্রয় প্রকল্প থেকে এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে মুজিবনগর এলাকার সুসং আশ্রয়ন প্রকল্পের ৪নং ব্যারাকের ৪নং ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে প্রেরণ করা হয়।
নিহত কিশোরীর নাম সবুজা খাতুন (১৫)। সে আশ্রয় প্রকল্পের ৪নং ব্যারাকের ৩নং ঘরের মঞ্জুল হকের মেয়ে। অপরদিকে সবুজা খাতুনের প্রেমিক বাবু মিয়া(১৬) পার্শ্ববর্তী বয়ারাকের ২নং ঘরের আব্দুল আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, নিহত সবুজা খাতুন আর বাবু মিয়া দুইজনের মধ্যে প্রায় দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৩-৪ দিন আগে ছেলে-মেয়েকে একত্রে পেয়ে তাদের প্রেমের সম্পর্কের ঘটনা প্রকাশ পেলে দুই পারিবারের মধ্যে জানাজানি হয়। পরে সামাজিক ভাবে মিমাংসার মাধ্যমে দুইজনের বিয়ের আশ্বাস দেয় ছেলের পরিবার। তবে আশ্বাস দিয়ে ছেলের পরিবারের লোকজন ছেলেকে দূরে কোথাও পাঠিয়ে দেয়। ছেলে না থাকায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা সামাজিক ভাবে সমাধান করতে পারেনি।
এবিষয়ে সবুজার ভাবি জানান, সামাজিক ভাবে সুরাহা করতে না পারা এবং তাদের ভিতরে গভীর সম্পর্ক হয়ে যাওয়ার কারনেই সবুজা খাতুন তার প্রেমিক বাবু মিয়াকে বিয়ে করার কথা বললে প্রেমিক বাবু মিয়া “সবুজাকে পছন্দ করে না”এমন টা বলেন, আর এই দুঃখেই সে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিতে বাধ্য হয়েছে। এদিকে এ ঘটনা ঘটার পরপরই ছেলের পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়েছে বলেও জানায় নিহত সবুজার পরিবার।
আশ্রয়ন প্রকল্পের ৪নং ব্যারাকের ৪নং ঘর মালিক ছুলেমা খাতুন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আমার ছোট ছোট সন্তানদের বাড়িতে রেখে কাজে চলে যাই কখনোই কিছু হয়না, আজ এমনটা হবে, তাও আমার ঘরে, এমনটা আশা করিনি পরে ফাঁসির বিষয়টি প্রকাশ হলে আমার ছোট ছেলে আমি যে বাসায় কাজ করি সেখানে গিয়ে বিষয়টি জানায় এবং আমি আমার ঘরে এসে বিষয়টি দেখলাম।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম জানান,নিহতের নিজ বসত ঘরের পাশের একটি বসত ঘরের ভিতরে বাঁশের সঙ্গে উড়ানা পেছানো ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করি আমরা। পরে সুরতহাল করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।