1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মিঠাপুকুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত বৃদ্ধের মৃত্যু! পাবনার জেলা রেজিস্ট্রার দ্বীপক’র অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন রাবি ছাত্রদলের সভাপতি রাহী, সম্পাদক জহুরুল মাধবপুরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ হত্যা,কেরানীগঞ্জ থেকে স্বামী গ্রেপ্তার বাইরে থেকে নয়,দেশের সমস্যার সমাধান দেশে থেকেই করতে হবেঃ মির্জ ফখরুল অধ্যাপক তুলসীর স্যারের বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ-মানববন্ধন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর শিক্ষা কর্মকর্তার প্রত্যাহার এবং ৫ দফা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ কয়রায় অনলাইন জিডি কার্যক্রম শুরু: আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন দিগন্তের সূচনা নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড যশোরে জমি নিয়ে সৎ ভাইদের তাণ্ডব, ভূমি অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

নীরব ভালোবাসার মাঝে কথা বললো মানবতা,পেকুয়ায় দুই প্রতিবন্ধীর বিয়ে দিলেন আহসান উল্লাহ

Imtiaj Uddin
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
  • ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
ভাষা ও শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা ভালোবাসা ও সংসার গড়ার পথ আটকাতে পারেনি। পেকুয়া উপজেলার এক ব্যতিক্রমী মানবিক উদ্যোগে সমাজের সামনে স্থাপন হলো অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। পেকুয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আহসান উল্লাহর উদ্যোগ ও অর্থায়নে দুই বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা এলাকায় বরের বাড়িতে আনন্দঘন পরিবেশে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বর মোহাম্মদ জাহেদ উল্লাহ (৩৬), পূর্ব মেহেরনামার মো. ছৈয়দ উল্লাহর ছেলে। কনে সোমাইয়া জন্নাত (২১), উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ছমি উদ্দিন পাড়ার সিরাজুল করিমের মেয়ে।
বিয়ের আয়োজনে ছিলো একটুও কমতি। দুপুর দেড়টার দিকে বর টুপি পরে, নোহা গাড়ির সামনের সিটে বসে বরযাত্রীসহ কনের বাড়িতে যান। কনের বাড়িতে লোকজন বরযাত্রীদের বরণ করে নেন আতিথেয়তায়। অনুষ্ঠান শেষে কনেকে নিয়ে বরের বাড়ি ফেরেন বরযাত্রীরা।
পরবর্তীতে বরের বাড়িতে ধর্মীয় নিয়ম মেনে ১ লক্ষ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়েতে দুই পরিবারের সম্মতি ছাড়াও সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল আহসান উল্লাহ’র। তার মানবিক উদ্যোগ এবং সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে এই বিশেষ বিবাহের আয়োজন সফল হয়।
বরের পিতা মো. ছৈয়দ উল্লাহ বলেন, “আমরা উভয় পরিবার আহসান উল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং সাহায্যে আমি আমার ছেলের বিয়ে দিতে পেরেছি। এটা আমাদের জন্য বড় আশীর্বাদ।”
স্থানীয়রা বলছেন, এটি শুধু একটি বিয়ে নয়—এটি একটি শক্তিশালী বার্তা, যেখানে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রয়েছে।
পেকুয়া উপজেলার মানুষ আহসান উল্লাহর এই উদাহরণকে মানবতার জাগরণ হিসেবে দেখছেন। প্রতিবন্ধীদের জন্য এমন সহযোগিতা সমাজে সহানুভূতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com