1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভান্ডারিয়ায় প্রায় ৪০ বছর পরে ভাই ফিরে পেলো (মৃত) ভাইয়ের খোজ, সন্তান ফিরে পেলো তার পিতার ঠিকানা বগুড়া জেলা লেদ শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রয় সম্পন্ন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লার হাট ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১৯ জুলাই বগুড়া জেলা বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে শাহজাহানপুর থানা তাঁতি দলের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় মসজিদ মুসলমানদের ইবাদতের স্হান সেখানো কোন রাজনৈতিক আলোচনা হবে না সোনাগাজী তিনদিন ব্যাপী কৃষি উদ্বোধন দীর্ঘ ২৩ বছর পর গজারিয়ার আবুল কাশেম হত্যা মামলার রায়: ১০ জনের যাবজ্জীবন আজ সাঈদ স্মরণে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ – একটি গৌরবময় ত্যাগের দিন শহীদ আবু সাঈদ হত্যার দ্রুত বিচার চায় জামায়াত চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়ন শাখার দর্জি শ্রমিক ইউনিটের কমিটি ঘোষণা

ফুটকার্ড চুরি করে বিক্রি করলো রাবি ছাত্রদল কর্মী; সাংবাদিকের ফোনে ফেরত

ফজলে রাব্বি পরশ
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এস্টেট দপ্তর থেকে এক ব্যবসায়ীর ফুডকার্ড তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল কর্মী হাসিবুল ইসলাম হাসিবের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড ব্যবহার করে প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই স্টোর শাখা থেকে ফুডকার্টটি সংগ্রহ করেন। পরে সাংবাদিকের অনুসন্ধান ও ফোন কলের পর তিনি তা ফেরত দেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আখতার হোসেন জানান, রমজান মাসে পরিবহণ মার্কেটে পরিচালিত অবৈধ দোকান উচ্ছেদের সময় তার ফুডকার্টটি জব্দ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দপ্তর। তখন তাকে জানানো হয়েছিল, টেন্ডারের মাধ্যমে অনুমতি ছাড়া জব্দকৃত দোকান ফেরত দেওয়া হবে না। তাই তিনি ধৈর্য ধরে প্রশাসনের অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন।
তবে সম্প্রতি ছাত্রদল নেতা হাসিব আবেদন দিয়ে এবং নিজের আইডি কার্ড ব্যবহার করে স্টোর শাখা থেকে ফুডকার্টটি নিয়ে যান। আখতার হোসেন অভিযোগ করেন, তার কাছে বৈধ কাগজপত্র ও মালিকানার প্রমাণ থাকলেও তাকে ফুডকার্টটি ফেরত দেওয়া হয়নি, বরং একজন ছাত্রনেতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে আখতার বলেন, “আমি স্টোর শাখায় গিয়ে ফুডকার্ট না পেয়ে এস্টেট অফিসে অভিযোগ জানাই। প্রশাসক তখন বিষয়টিকে ভুল বলে স্বীকার করেন এবং হাসিবকে ফোন দেন। এরপর হাসিব আমাকে ফোনে হুমকি দিয়ে দেখা করতে বলেন।”
পরে সাংবাদিকের ফোন কলের পর হাসিব নিজেই আখতারকে ফোন করে অনুরোধ করেন বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ না করার জন্য। এরপর তিনি ফুডকার্টটি ফেরত দেন। আখতার হোসেন বলেন, “আপনারা (সাংবাদিকরা) ফোন দেওয়ার পরই সে আমাকে ফোন দেয় এবং পরে ফুডকার্ট ফেরত দেয়।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাসিবুল ইসলাম হাসিব বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি আখতারের সঙ্গে কথা বলছি। ও আপনাকে সব জানাবে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দপ্তরের প্রধান মো. রজব আলী বলেন, “ক্যাম্পাসে অনেক অবৈধ খাবারের দোকান রয়েছে, যেগুলোর কোনো অনুমোদন নেই। তাই প্রশাসন এসব দোকান উচ্ছেদ করে। আখতারের দোকানটিও এমনভাবেই উচ্ছেদ করা হয়েছিল। সাধারণত এসব দোকান ফেরত দেওয়া হয় না। তবে মানবিক বিবেচনায় আমরা মাঝে মাঝে ফেরত দিই।”
তিনি আরও বলেন, “হাসিব আমাদের কাছে তথ্যপ্রমাণসহ আবেদন জমা দেয়। আমরা যাচাই করে দোকানটি তার কাছে হস্তান্তর করি।”
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত হাসিবের বিরুদ্ধে এর আগেও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রলীগ নেতাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে তিনি একবার সংগঠন থেকেও বহিষ্কৃত হন।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com