1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
“শ্রমিকের আইনগত সুরক্ষায় করণীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশকে কিছু দল মৃত্যুপুরী বানাচ্ছে : মোমিন মেহেদী আত্রাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কৃষকদল নেতা আলা বহিষ্কার ত্রিশালে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি, জারি ১৪৪ ধারা মোতায়েন ৪প্লাটুন বিজিবি জুলাই-আগষ্ট গনঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি পালন ও বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি নিজামপুরে বিএনপি বগুড়া-৪ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ঘোষণা ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত রংপুরের মিঠাপুকুরে সাংবাদিকদের সাথে ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা রংপুরে জুলাই শহীদ দিবস পালিত জুলাই শহীদদের স্মরণে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন

বগুড়ায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে খেজুরের দাম

ফাহিম মাহাদী
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪
  • ১৫২ বার পড়া হয়েছে

রমজান মাস এখনও শুরু হয়নি। তার আগেই বগুড়ায় খেজুরের দাম গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্ক ও করহার বৃদ্ধি, টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি এবং ঋণপত্র জটিলতার কারণে এ বছর খেজুরের দাম বেড়েছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে খেজুরের বাজারের অস্থিরতা বেড়েই চলেছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বগুড়ায় খেজুরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে ইরাকি খেজুর কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছর ছিল ১০০ টাকা। দুবাইয়ের ইরাকি জাহিদি জাতের খেজুর ১০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৪০০ টাকা। দাবাস ও লুলু জাতের খেজুর ১০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ টাকা, যা গত বছরে ছিল ২ হাজার ৪০০ টাকা। মরিয়ম জাতের খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি। মজদুল খেজুর ৫ কেজি ওজনের কার্টুন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ২ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়াও সৌদি আরবের মাসরুক ও সাফাই জাতের খেজুর পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। গত বছরের ফরিদা খেজুর ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এবার বেড়ে ৪৫০ থেকে ৫৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খেজুর কিনতে আসা মাহাবুব হাসান সোহাগ বলেন, ‘রমজানে খেজুর রাখতেই হয়, কিন্তু সেই খেজুরের দাম আমাদের মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমরা সবাই সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি।’
বগুড়া সপ্তপদী এলাকার খেজুর বিক্রেতা মতিনুর রহমান বলেন, ‘গত বছরের রমজানের পরই ধীরে ধীরে দাম বাড়তে থাকে। দুই বছরের ব্যবধানে কিছু খেজুরের দাম এখন দ্বিগুণেরও বেশি। প্রতি মাসেই দাম বাড়ছে। আমরা যেমন দামে কিনি খুচরায় তেমন দামেই বিক্রি করি।’
খেজুর আমদানিকারক মেসার্স এমএ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মনসুর আলী বলেন, ‘খেজুরের দাম গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। খেজুরের শুল্কায়ন মূল্য দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হয়েছে। এর প্রভাবে গত বছরের তুলনায় এ বছর খেজুর আমদানিতে দু-তিনগুণ ব্যয় বেশি হচ্ছে। লোকজন কেনাও কমিয়ে দিয়েছে। তবে যে খেজুর আছে তাতে রমজানে বগুড়ায় কোনো সংকট হওয়ার কথা নয়।’
বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রমজানকে ঘিরে কেউ যদি খেজুরের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং কার্যক্রমও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com