১৬ মার্চ শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে বরিশাল নগরীর হাটখোলা – বাজার রোড এলাকায় একটি ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়। জানা যায়, নিয়মিত বাজার মনিটরিং কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসকের অধীনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে পন্যের বিক্রয় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ভাউচার সাথে না রাখা এবং নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও অনেক বেশি দামে পণ্য বিক্রির অপরাধে “আনন্দ মুদি ঘর” নামের এক দোকান মালিক কে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও “মেসার্স প্রগতি ট্রেডার্স ” নামের একটি চালের আড়তের ফরিদপুর, যশোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আমদানি করা চালের মূল্য যাচাইয়ের জন্য তাদের চালান সংগ্রহ করা হয়।
এসময় জরিমানার পাশাপাশি সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করে দেওয়া মূল্যেই যাতে নির্ধারিত পণ্যসামগ্রী বিক্রয় করা হয় সেজন্য ব্যবসায়ীদের সতর্কও করা হয়।
এদিকে ভ্রাম্যমান আদালত এর অভিযানের বিষয় টি টের পেয়েই আশপাশের এলাকার দোকান ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে ব্যবসায়ী, দোকানদার ও তাদের কর্মচারীরা উধাও হয়ে যায়।
বরিশাল নগরীর আড়ৎ (ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু) খ্যাত এই এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত টি পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাবেদ হোসেন চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, বরিশালের জেলা প্রশাসক স্যারের (শহিদুল ইসলাম) নির্দেশনায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম এর একটি অংশ হিসেবেই বরিশাল নগরীর বাজার রোড ও হাটখোলা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
অভিযানে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করার পাশাপাশি জরিমানাও আদায় করা হয়েছে। আবার এক চাল ব্যবসায়ী বরিশালের বাইরে থেকে চাল এনে বিক্রি করেন, তার আমদানিকৃত চালের মূল্য তালিকা যাচাই বাছাই করে দেখার জন্য আমরা সংগ্রহ করেছি। যদি বিক্রয় মূল্যের সাথে আমদানি মূল্যের পার্থক্য বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ করে সড়ে পড়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন: নিয়ম মেনে ব্যবসা করলে কাউকে কখনো জরিমানা করা হয় না। তারপরও অভিযানের খবর পেলে অনেকেই তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। আজও সেটাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।
এদিকে অভিযানিক দলটির চলে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাজার রোডের সকল বন্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আবার খুলতে দেখা যায়। ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযানের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাব ৮ এর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।