1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুয়াকাটায় মদ্যপান অবস্থায় সাগরে ঝাঁপ পর্যটকের রানীশংকৈলে পৌর জাতীয়তাবাদী বিএনপি দলে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ান এর দোয়া মাহফিলের আয়োজন শাল্লা মৎস্য অফিসেই সহকারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নীলফামারীতে জাতীয় পার্টির মত বিনিময় সভা ঘোড়াঘাটে যুবলীগের সভাপতি সহ গ্রেপ্তার ২ কালিয়াকৈরে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার নলছিটিতে ইয়াবাসহ যুবক আটক পদ্মা সেতুর রক্ষা বেরিবাদ ভাঙ্গনের কবলে পদ্মার গর্ভে প্রেম হয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক শক্তির দায়িত্ব হচ্ছে আত্মমর্যাদাশীল, গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা : শিমুল বিশ্বাস নন্দীগ্রামে প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলামের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের শোক

বাক-প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে নিয়ে, পথের ধারে খড়কুটোর ঘরে

এম এ সাকিব খন্দকার
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৫২ বার পড়া হয়েছে
পথের ধারে সামান্য জায়গায় পুরনো কয়টা টিন আর খড়কুটোর তৈরী ছোট্ট ঘরে হামাগোরে বুড়া-বুড়ির শীতের রাত কাটে। ঘরে শোয়ার জন্য কোনো খাট কিংবা চৌকি নাই, নাই কোনো বিদ্যুতের আলো। মেঝেতে খড়ের বিছানা বানিয়ে তাতেই কনকনে শীতে এই ঠাণ্ডার মধ্যে রাত্রী যাপন করি তবুও  খোঁজ নেই কারোও। দিনের বেলায় এলাকার বাড়ী বাড়ী গিয়ে চায়েচিন্তে আনে খাই। এখন শীত বেশি তাই বারে যাওয়াও কষ্ট হয়। শীতে খুব কষ্টে রাত পার করোচি বাহে। একনা কম্বল পাইলে আরাম হত। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বয়স্ক ভাতা ও স্ত্রী প্রতিবন্ধী ভাতা পাই তাই সরকারের অন্য কোনো সুযোগ সুবিধা দেয়না। তবুও আল্লায় ভালো রাখিছে। এভাবেই নিজের কথা বলছিলেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা বাজার এলাকায় পথের ধারে খড়কুটোর ঘরে ঠাই হওয়া ছানাউল্লাহ (৭০) নামের বৃদ্ধ দম্পত্তি।
উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় সৃষ্ট হাড়কাঁপানো কনকনে তীব্র শীতে যখন কাবু জনজীবন। তখন দুই সপ্তাহেরও বেশিদিন ধরে চলমান শৈত্যপ্রবাহ যেন, মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষ ও প্রাণীকূলে। দিনে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও রাতে প্রকৃতির কাছে হার মানছে মানুষ। রাতে শীত থেকে বাঁচতে সবাই যখন শরীরে মোটা কাপড়, লেপ, কম্বল পরিধাণ করে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে, ঠিক তখন খোলা আকাশের নিচে পথের ধারে খড়কুটোর তৈরী ঘরে খড়ের বিছানার উপর সামান্য কিছু কাপড় শরীরে জড়িয়ে রাত্রী যাপন করেছেন বাক-প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মোঃ ছানাউল্লাহ শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ দম্পত্তি।
ছানাউল্লাহ দম্পতি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর গাইবান্ধা জেলা থেকে পাঁচবিবির মহিপুর এলাকায় এসে অন্যের বাড়ীতে আশ্রয় নেই। এরপর মানুষের বাড়ী বাড়ী কাজ করে সেখানেই খাসের জায়গায় ঘর বানিয়ে থাকতাম। স্ত্রী সন্তানসহ সেখানেই কেটে যায় বহুকাল। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ছেলেকে বাড়ী ছেড়ে দিয়ে ভিটা-মাটি ছেড়ে চলে আসেন ছানাউল্লাহ। এরপর যাযাবর জীবনে প্রায় সাত বছর আগে উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া গ্রামের এক বাক-প্রতিবন্ধী মহিলাকে বিয়ে করে সড়কের ধারে খড়কুটোর তৈরী ছোট্ট ঘরে সংসার বাঁধেন এই বৃদ্ধ দম্পত্তি। মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভিক্ষা করে সংসার চলছে তাদের। সরকারের একটি আশ্রয়ণের ঘর চান তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচবিবি-কামদিয়া সড়কের হরেন্দা বাজারের পুর্ব দিকে রাস্তার পাশের সামান্য কিছু জায়গায় পুরনো কিছু টিন ও খড়কুটোর তৈরী ছোট্ট ঘরে কষ্টে জীবন যাপন করেছেন ছানাউল্লাহ ও তাঁর বাক-প্রতিবন্ধী স্ত্রী। ঘরে শোয়ার জন্য কোনো খাট কিংবা চৌকি নেই, নেই কোনো বিদ্যুতের আলো। মেঝেতে খড়ের বিছানা বানিয়ে তার উপর কিছু কাপড় দিয়ে বিছানা বানিয়ে এই কনকনে শীতে রাত্রী যাপন করছেন তবুও  খোঁজ নেই কারোও। ঘরের ভিতরে এলোমেলো অবস্থা। বাড়ীতে একটা টিউবওয়েল বসানো সেটাও নাকি মানুষের ধার করা ইরির সিজন আসলে নিয়ে যাবে। একারনে এই বৃদ্ধ দম্পত্তির সরকারের কাছে আবেদন তাকে যেন একটি আশ্রয়ণের ঘর দেওয়া হয়।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com