1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রংপুরের রাজনীতিতে উত্তাপ,মোস্তফার কঠোর হুঁশিয়ারি পটুয়াখালী ড্রাইভার্স কল্যান সমিতির ৩৭তম বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত… কুড়িগ্রামের বিভিন্ন সীমান্তে বিএসএফ এর “পুশ ইন” ঠেকাতে “বিজিবি”র সাথে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা জমে উঠেছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে – কোরবানীর পশুর হাট বর্তমানে কি কি কারণে নামজারি আবেদন না মঞ্জুর হচ্ছে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকীতে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ কুড়িগ্রামকে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত জেলা ঘোষনা করা হবে : ডিসি নুসরাত সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালের সংস্কার কাজে বাধা: চাঁদা দাবিতে দূর্বৃত্তদের হুমকি, শ্রমিকদের নিরাপত্তাহীনতা ভারতের গৌরীপুরের নারী ভুলক্রমে বাংলাদেশের ময়মনসিংহের গৌরীপুরে দুমকীতে হেরোইন সহ আটক-১

সাটুরিয়ায় তাঁতপল্লী আছে, কিন্তু কর্ম নেই।

আব্দুর রাজ্জাক
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৩০১ বার পড়া হয়েছে

সাটুরিয়ায় যাদের হাত দিয়ে তৈরি হতো উন্নতমানের জামদানি শাড়ি,এখন সেই হাতে কৃষিকাজ ও দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা। তবে এখন পর্যন্ত যারা এ পেশায় টিকে রয়েছে তাদেরও দিন চলছে অনেক কষ্টে। মানিকগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ২০/২৫ কিলোমিটার উত্তরে সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের সাভার ও আগ-সাভার গ্রামে তাঁতের শাড়ি তৈরির কারখানা এবং কারিগরদের বসত।
এক সময় ঐ এলাকার প্রায় হাজারো পরিবার তাঁতে তৈরি করত জামদানি শাড়ী, বেনারসি, সুতি, সিল্ক শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছা। এ সকল কারণেই জামদানি পল্লি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে গ্রামটি।

 

 

 

তবে জামদানি পল্লিতে এখন আর জামদানি শাড়ি তৈরি হয় না। পল্লিতে এখন কাতান, এনডি কটন, এনডি সিল্ক, সুতি শাড়ি, থ্রি পিস, ওড়না, ধুপিয়ানসহ তৈরি হয় বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ি কাপর তাও আবার সীমিত । অতিরিক্ত পরিবহন খরচ এবং কাঁচামালের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির কারণে দিন দিন চাহিদা কমে যাওয়ায় শাড়ি কাপর উৎপাদন কমে যাচ্ছে তাঁতপল্লিতে। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক তাঁত। স্থানীয় তাঁত মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাটুরিয়ার তাঁতপল্লির তৈরি শাড়ির চাহিদা এতটাই ছিল যে, ঢাকার বিভিন্ন শাড়ির শো-রুম থেকে আগাম টাকা দিয়ে অর্ডার দেওয়া হতো। সারা বছরের পাশাপাশি বছরের দুটি ঈদ, পূজা ও বৈশাখ মাসে চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। এ কারণে বছরের দুই ঈদ, পূজা ও বৈশাখের শুরুতে দিনরাত কাজ করতে হতো কারিগরদের।তবে গত কয়েক বছর ধরে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং কাঁচা মালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন অনেকটাই কমে গেছে। তাঁত মালিক রফিকুল জানান,আগের মতো কাজ নেই পল্লিতে।তার ৪টি তাঁত রয়েছে বাড়িতে। সেখানে তিনিসহ কাজ করেন ৩ কারিগর। তাঁত মালিক জুলহাস মিয়া বলেন, বর্তমানে সুতা এবং রঙের দাম ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন একেবারে নেই বললেই চলে। কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির বলে উৎপাদন কম থাকায় ১০টি তাঁতের মধ্যে ৫টি দিয়ে কাজ চালাচ্ছি। তাঁত কারখানার শ্রমিক জমির উদ্দিন ও শাহ -নেওয়াজ বলেন, অন্য কোনো কাজ না জানার কারণে এখনো এ পেশায় রয়েছি।

 

 

সাটুরিয়া উপজেলা তাঁত মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক দাউদ হাসান লাভলু বলেন বর্তমানে সাটুরিয়ায় ৩শ’ তাঁত মালিকের ১ হাজার তাঁতে কাজ করছে প্রায় ১৫ শত শ্রমিক। কিন্তু পূর্বে তার সংখ্যা ছিল কয়েক হাজারে। এ ছাড়াও গত ৫ বছরে এখানকার প্রায় ১ হাজার খানেক তাঁত বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি আরও জানান কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি এবং পরিবহন খরচ বাড়ার কারণে তাঁতের তৈরি কাপড়ের চাহিদা কমে যাওয়ায় একের পর এক তাঁত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে কারিগরদের বেকার সময় পার করতে হচ্ছে। এ কারণে অনেক তাঁত শ্রমিক এ পেশা ছেড়ে দিয়ে কৃষিকাজ ও দিনমজুরি করে সংসার চালাচ্ছে।

 

 

বরাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন সাটুরিয়ার তৈরি তাঁতের কাপড়ের সুনাম রয়েছে সারাদেশেই। কিন্তু বর্তমানে তাঁতিদের আর্থিক সংকট ও অন্যান্য সমস্যার কারণে সাটুরিয়ার ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প আজ ধ্বংসের সম্মুখীন। তিনি বলেন যদি সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায় তাহলে ঐতিহ্যবাহী এই তাঁতশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) মানিকগঞ্জ জেলার উপ-ব্যবস্থাপক মাহবুবুল ইসলাম বলেন, বিসিক কুটির শিল্প উন্নয়নে ১৯৫৭ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁতশিল্প ছাড়াও অন্য কুটিরশিল্পের ক্ষেত্রেও তারা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তিনি আরো জানান, তাঁফতদের আর্থিকভাবেও সহযোগিতা করা যাবে যদি তারা উপযুক্ত কাগজপত্র নিয়ে তাদের কাছে আসেন।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com