ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কের মুন্সীরহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সন্নিকটে সড়কের উপরে সওজ (সড়ক ও জনপথ) কর্তৃপক্ষের স্থাপন করা সাইনবোর্ডে ভুল! সাইনবোর্ডে দেখা যায়,মুন্সীরহাট থেকে পরশুরামের দূরত্ব ১২.৬০ কি.মি.আবার ইংরেজিতে PARASHURAM না লিখে পরশুরাম থেকে দূরে হয়েও সীমান্তবর্তী স্থলবন্দর বিলোনীয়ার দূরত্ব দেখানো হয়েছে ১২.২৫ কি. মি.।আবার মুন্সীরহাট থেকে ফুলগাজীর (শুদ্ধ FULGAZI) ইংরেজিতে বানান ভুলের পাশাপাশি দূরত্ব দেখানো হয়েছে ৬.৬০ কি. মি.। কিন্তু ইন্টারনেট থেকে জানা গেছে, মুন্সীরহাট থেকে ফুলগাজীর দূরত্ব ৩.৭কি.মি.। মুন্সীরহাট থেকে ফেনীর দূরত্ব ১২.৮ কি.মি.। অপরদিকে ফেনী থেকে আসার সময় টেকনিক্যাল এলাকায় পরশুরাম সড়কে উপরে দেখানো হয়েছে ২৬.৬৫ কি. মি. নীচে মাইলস্টোনে লেখা রয়েছে ২৫.৬৫ কি.মি.।
ফেনী সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক সম্প্রতি নবনির্মিত এই ভুল সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে সচেতন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা গেছে। স্থানীয় লোকজন স্থানযুক্ত কি.মি. এর সাইনবোর্ড দেখে সড়কে চলাচল না করলেও এ এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর নতুন যোগদান, অতিথি হিসেবে ভিন্ন জেলার বাসিন্দার প্রথম বারের মতো আগমন হলে বুঝতে পারবে না পরশুরাম ও বিলোনীয়ার মধ্যে আগে ও পরের স্থান কোনটি? এলাকার বাহির থেকে আসা মানুষজন স্থানের সাথে কি.মি.এর মিল না পেয়ে ও বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে পারে।এ জন্য সচেতন মহল ভুল সংশোধন করার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ফুলগাজী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মযজ্ঞ। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ে সমন্বয় করে এলাকার সঠিক নাম ও দূরত্ব যাচাই করে সাইনবোর্ড প্রতিস্থাপন করা উচিত কর্তৃপক্ষের। এলাকায় নামের সাথে দূরত্ব ভুল করে সাইনবোর্ড টানানোর কারনে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করে। এটি দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন।
জানা গেছে,সড়কে বিভিন্ন মোড়ে এলাকার দূরত্ব ও পরিচয় সংবলিত সাইনবোর্ড প্রতিস্থাপনের কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজ শেষে বিভিন্ন মোড়ে এলাকার নাম ও দূরত্ব সঠিক নাম কিনা যাচাই করেন সওজ’র জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, কাজটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আমাদের যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রতিস্থাপন করেছে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল। দ্রুত সংশোধনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন নির্বাহী প্রকৌশলী। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, আশা করি বাস্তবায়নকারী সংস্থা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।