ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি সম্পর্কে মাঝে মাঝে অভিযোগ ওঠে— তাঁর সময়ে নাকি এলাকার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। তবে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত বলছে ভিন্ন কথা। শান্তির রাজনীতি প্রতিষ্ঠা ও টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিনি এলাকায় রেখে গেছেন স্থায়ী প্রভাব।
রাজনীতির সহিংস অতীতের কারণে একসময় ফেনীকে অনেকেই ‘লেবানন’ বলে আখ্যা দিতেন। হামলা, দখল ও প্রতিহিংসার রাজনীতি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পর অধ্যাপক জয়নালের ওপর হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
তবুও ক্ষমতায় থেকে তিনি প্রতিহিংসার পথে হাঁটেননি; বরং সহনশীলতা, সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের চর্চা প্রতিষ্ঠা করেন। রাজনৈতিক উত্তাপ কমে এসে এলাকায় স্থিতিশীলতা ফিরে আসে— যা তাঁর বড় অর্জন হিসেবে বিবেচিত হয়।
অধ্যাপক জয়নাল আবেদীনের সময়েই ফেনীতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও প্রতিষ্ঠানের বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়—
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০০১–২০০৬ মেয়াদে ফেনীর তিনটি আসনের মধ্যে সবচেয়ে দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটে ফেনী-২ এ।
তাঁর সততা ও স্বচ্ছ রাজনীতিকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেকেই উদাহরণ হিসাবে দেখেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ফেনী অঞ্চলের জোনাল কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন। পরে তিনবার নির্বাচিত এমপি (১৯৮৮, ২০০১, ২০০৮) ও বিএনপি চেয়ারপারসনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষা জীবন শেষে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত ড. জয়নাল ছাত্র-রাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে উঠে আসেন।
শান্তির রাজনীতি, দৃশ্যমান উন্নয়ন ও নীতিনিষ্ঠ নেতৃত্ব— এই তিন গুণ অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপিকে ফেনী-২ আসনের এক প্রমাণিত ও গ্রহণযোগ্য নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাঁর সময়কার উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এখনও এলাকাবাসীর আলোচনায় রয়েছে।