নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলাধীন নজিপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ লোকনুজ্জামান আহমেদ অনিয়মিত অফিস করেও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় শিক্ষা নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের মনগড়া রেজুলেশন তৈরি করে সকল শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে নাম মাত্র মসজিদের উন্নয়ন বাবদ বাদ্ধতামূলক ১০০ টাকা করে উত্তোলনের অভিযোগ অনেক পুরাতন।
সহযোগী অধ্যাপক ডঃ লোকনুজ্জামান আহমেদ নজিপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজে যোগদান করার পর থেকেই তিনি তার গায়েবী ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি শিক্ষা নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের মন মতো করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানটি তার পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে নিজের খেয়াল খুশি মতো কলেজে যাতায়াত করেন। তার খারাপ ব্যবহারে কলেজ শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গত প্রায় ছয় মাস অনুসন্ধান করে দেখা যায়, ডঃ লোকনুজ্জামান আহমেদ মাসে ৫-৭ দিন কলেজে আসেন। কলেজ মসজিদের উন্নয়ন বাবদ শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণের অর্থ নেওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এছাড়াও ডঃ লোকনুজ্জামান আহমেদ তার গায়েবী ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের মনগড়া রেজুলেশন তৈরি করে সকল শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে ১০০ টাকা করে উত্তোলন করেন তিনি। তবে এই বিষয়ে নজিপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মতিউর রহমান কিছু জানেন না বলে জানান প্রতিবেদক কে।
অবৈধভাবে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে টাকা উত্তোলন, টাকার আয় ও ব্যয়ের হিসাবের জন্য তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলেও মিলেনি তার কোন উত্তর। গোপন সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা উত্তোলন করা হয়। অথচ এই টাকার বিষয়ে জানেন না অত্র কলেজের অধ্যক্ষ। পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় এই বিষয়ে ডঃ লোকনুজ্জামান আহমেদ আলাদা ব্যাংক একাউন্ট করেছেন অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া। যে একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে হলে ডঃ লোকনুজ্জামান ও তার আরো এক সহযোগী শিক্ষকের স্বাক্ষরই যথেষ্ট।