লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক ডাক্তারের অনিয়মিত উপস্থিতির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুপুরে (৩১জানুয়ারি) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুড়িগ্রামের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদের নেতৃত্বে দুদকের ৬ সদস্যের একটি দল অভিযানে অংশ নেন।
কর্মকর্তারা উপস্থিত সাংবাদিকদের অভিযানের কারন জানাতে না চাইলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছেন, ওই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশুরোগ বিষয়ক জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শাহানা আফরিনের বিরুদ্ধে নিয়মিত হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত না থাকার অভিযোগে দুদক এ অভিযান পরিচালনা করেন। তবে ডা. শাহানা আফরিনের দাবী দাফতরিক আদেশেই তিনি সপ্তাহের শনিবার একদিন হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করছেন। সপ্তাহের বাকি পাঁচদিন তিনি লালমনিরহাট জেলা সদর হাসপাতালে উপস্থিত থাকছেন।
ডা. শাহানা আরও বলেন, গত ডিসেম্বর মাসের ২৬ তারিখ থেকে দুই সপ্তাহের জন্য অসুস্থতার কারনে কর্মস্থলে যেতে পারিনি। সে কারণে অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন দিয়েছি। পরবর্তীতে গত শনিবার থেকে নিয়মিত কর্মস্থলে যাচ্ছি। গত শনিবার আমি হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং এরপর থেকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়মিত কাজ করছি।
এ ব্যাপারে হাতীবান্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ হাসানুল জাহিদ বলেন, গত বছরের মার্চ মাসের পনের তারিখে ডা. শাহানা হাতীবান্ধায় সপ্তাহে একদিন দায়িত্ব পালনের জন্য দাপ্তরিক আদেশ পান। এরপর গত মাসে দু’সপ্তাহের ছুটিতে ছিলেন অসুস্থতার কারনে। এ ব্যাপারে দুদক কর্মকর্তারা তাঁর এবং অন্যান্য স্টাফদের দৈনিক হাজিরা বিষয়ক নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন।
দুদকের কুড়িগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদ বলেন, আমরা কমিশনের ইনফোর্সমেন্টের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সকল নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। নথিপত্র পর্যালোচনা করে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। কমিশন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ করবেন।
অভিযানকালে দুদকের কর্মকর্তারা হাসপাতালের বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি এবং স্বাক্ষর সম্বলিত হাজিরা খাতার বিভিন্ন বিষয় ছাড়াও জরুরি বিভাগ, আউটডোর, বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে রোগীদের খাবারের মান, খাবারের তালিকা সংগ্রহসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করেন। এসময় চিকিৎসাধীন থাকা রোগীরা হাসপাতালের সেবা পেতে পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হয় বলে অভিযোগ করেন।