বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে বেতবুনিয়া রাইট ক্যাম্প দখলে নিতে মিয়ানমার বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলি চলছে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে মিয়ানমার বাহিনী আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান থেকে বোমা হামলা চালাচ্ছে। আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে এ পর্যন্ত ৯৮ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন।
কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) নিশ্চিত করেছেন মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসকারী ৪০০ মিয়ানমার আদিবাসী খাদ্য অভাব এবং ঝুঁকির কারণে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন।
কক্সবাজারের শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, মিয়ানমারে দেশটির সরকারের জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এতে মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে এবং তাঁদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই অবস্থায় তাঁরা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে।এদিকে সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমার থেকে কোনো রোহিঙ্গা অথবা অন্য কোনো সম্প্রদায়ের লোকজন যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্তে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে।