বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় উপজেলা কয়রা বরাবরই বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও প্রতিকূলতার শিকার হয়ে এসেছে। এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। তিনি ৩০ জুন, সোমবার সকালে কয়রা উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, কয়রা সব সময়ই অবহেলিত থেকেছে। এই জনপদের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে দল-মত নির্বিশেষে সকলের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা জরুরি। তিনি কয়রার দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন এবং সেগুলো সমাধানে তাঁর চেষ্টার কথা জানান। এর মধ্যে রয়েছে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সুন্দরবনে ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র গড়ে তোলা, জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি নিষ্কাশনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষিখাতে আধুনিকায়ন এবং বন্ধ স্লুইস গেটগুলো সংস্কার। তিনি উল্লেখ করেন যে, এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, সাংবাদিকরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে কয়রার সমস্যাগুলো জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরতে পারেন। এক্ষেত্রে সকল সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে নিজ নিজ উদ্যোগে আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। কয়রার উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা সবসময়ই প্রশংসনীয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কয়রা উপজেলা শাখা আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মিজানুর রহমান। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কয়রা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, কয়রা উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা শাহাবুদ্দিন আহমেদ সহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ। সভায় কয়রার বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা কয়রার বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার দিক নিয়ে আলোকপাত করেন এবং এলাকার উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।