অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল আজ প্রকাশ করা হবে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ)
http://ntrca.teletalk.com.bd/result/ -এই ওয়েবসাইট থেকে ফল জানা যাবে। এ ছাড়াও উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের টেলিটক থেকে খুদে বার্তার মাধ্যমেও ফল জানানো হবে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া মৌখিক পরীক্ষা চলতি মাসের ৩১ মে শেষ হয়েছে। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে ১৪ অক্টোবর অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। গড় পাসের হার ছিলো ২৪ শতাংশ।
২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২ নভেম্বর অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে প্রায় ১৯ লাখ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ মার্চ প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের ১৫ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
এতে উত্তীর্ণ হয় ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জনসহ সর্বমোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্বিক পাসের গড় হার ছিলো ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।
শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ পাওয়া মানে এই নয় যে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি হয়ে যাবে। এটি মূলত যোগ্যতার সনদ। এরপর: NTRCA প্রতি বছর Public Circular বা বিশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (বিশেষ করে গণবিজ্ঞপ্তি) প্রকাশ করে। নিবন্ধিত প্রার্থীরা ঐসব পদের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। একটি স্বয়ংক্রিয় মেধা তালিকা (Merit List) তৈরি হয় — যেখানে বয়স, পরীক্ষার ফলাফল ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা হয়। নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করা প্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পান আর শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীরাই মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে যাত্রা শুরুর সময় শুধু প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী সনদ দেয়া হতো। সেটা দেখিয়ে শিক্ষক পদে আবেদন করা যেতো। কিন্তু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া পরীক্ষাই ছিলো চূড়ান্ত। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত দায়িত্ব পায় এনটিআরসিএ।