বগুড়ার আদমদীঘিতে কাঁচা মরিচ বেচা-কেনা নিয়ে নুর ইসলাম বজলু নামের এক আড়তদারের সাথে কয়েকজন চাষীর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারপিটের ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তির নাম রকি। তিনি আড়তদার নুর ইসলাম বজলুর স্যালক ও ওই আড়তের ম্যানেজার। শনিবার সকালে আড়তদার নুর ইসলাম বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কাঁচা মরিচের সবচেয়ে বড় হাট (অস্থায়ীভাবে) বসে কোমারপুর চারমাথা মোড়ে। সেখানে মেসার্স নুরনবী ট্রেডার্স নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোমারপুর বড়দীঘি পাড়ার আঃ সাত্তারের ছেলে নুর ইসলাম বজলুর আড়ৎ রয়েছে। ওই আড়তে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন রকি। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ওই হাটে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে আসেন পাশের গ্রাম বড় জিনইরের জয়েনের ছেলে রনজু (২২), ফেরদৌসের ছেলে আসিব (১৯) ও সালামের ছেলে আনিছুর (২৫) সহ আরো বেশ কয়েকজন। এ সময় আড়তদার নুর ইসলাম বজলু চাষীদের কাছে কম দরে মরিচ কিনতে চান। এরপরই উল্লেখিত চাষীরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। তারা লোহার রড দিয়ে ম্যানেজার রকির নাকে আঘাত করলে গুরুত্বর আহত হন। স্থানিয়রা আহত রকিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল পাঠান।
আড়তদার নুর ইসলাম বজলুর দাবী, তার আড়তের ক্যাশে থাকা নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের ২টি এ্যাডুয়েট মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে গেছে। থানায় তাদের নামে লিখিত অভিযোগ করা হযেছে।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।