বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানী গ্রামের মৃত্যু আব্দুল হক মৃধার স্ত্রী অসহায় নুরজাহান বেগম কে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে কবলা দলিল করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে, ঘটখালী সাকিনের তারই আপন বোন রাশিদা বেগমের ছেলে মোঃ আলামিন, মোঃ আবু তালেব ও মোঃ মাসুম । স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায় গুলিশাখালীর খেকুয়ানী গ্রামের আঃ হক মৃধা তার পাঁচ কন্যা সন্তান ১। মোসাঃ জাহানারা ২। শাহানারা ৩। ময়না ৪। লাভলী ও ৫। নাজমা বেগমকে রেখে এক বছর পূর্বে মারা যায়। অসহায় স্ত্রী নুরজাহান বেগম তার বড় মেয়ে জাহানারা কে নিয়ে স্বামীর সংসারে অসহায় ভাবে দিনযাপন করে আসছেন। এরই মাঝে গত ২২ শে এপ্রিল নুরজাহান অসুস্থ হলে তার বোনের ছেলে আলামিন ডাক্তার দেখাবার কথা বলে আমতলী এনে ভুল বুঝিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে আমতলী সাব রেজিস্টার অফিসে এনে স্ত্রী নুরজাহানের বাবার দেওয়া ২৯ নং ঘটখালি মৌজা, খতিয়ান ২১২ /৪৯৪, দাগ নং ৩৫৩৮/৩৫৩৯/৩৮১৪/৩৮১৮/৩৮২২/৩৮২৫ সহ আরো ৫/৬ টি দাগ নিয়ে সমুদয় ৮০ শতাংশ জমি বোনের ছেলে মোঃ আলামিন, মোঃ আবু তালেব মোঃ মাসুমের নামে কবলা দলিল করে নিয়ে যায়, যাহার দলিল নাম্বার ১৮১০/২৫ তারিখ,২২/৪/২৫ গত ১ জুন বরিবার খালা নুরজাহান ও তার ৫ মেয়ে জানতে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। অসহায় নুরজাহান বেগম অজ্ঞান হয়ে অসুস্থ হয়ে পরলে মেয়েরা তাকে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী অসহায় নুরজাহান ও তার মেয়েরা খালাত ভাইদের কাছে জানতে চাইলে তারা ভয় ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দেন। স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ শহীদ মোল্লা ও মোঃ পান্নু হাওলাদার এর কাছে বিচার চাইতে গেলে খালাত ভাই আলামিন, আবু তালেব ও মাসুদ কোন সালিশি ব্যবস্থাই মানেন না। ভুক্তভোগী নুরজাহান ও তার অসহায় মেয়েরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা , প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।