বরগুনার আমতলীতে জাল ওয়ারিশ সার্টিফিকেট প্রদান করায় আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধাকে মঙ্গলবার দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই মামলায় এর আগে এজাহার ভূক্ত এক নারী ইউপি সদস্যসহ দু’জনকে কারাগারে পাঠায় বিচারক। জাল ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের অভিযোগে চলতি বছরের ৪ মে মামলা করেন আমতলী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আমতলী গ্রামের মৃত মৌজে আলী প্যাদার ছেলে শাহিন প্যাদা।
গত রবিবার ওই ইউপি চেয়ারম্যান নির্দিষ্ট তারিখে আদালতে হাজির না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করে বিজ্ঞ বিচারক।
মঙ্গলবার দুপরে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. সাইফুল আলম জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আমতলী গ্রামের মৃত মৌজে আলীর প্যাদার পাঁচ ছেলে চার কন্যা এবং দুই ন্ত্রী রয়েছে। তার মৃতুতে মোট ওয়ারিশের সংখ্যা ১১ জন। ওয়ারিশরা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোতার উদ্দিন মৃধার নিকট থেকে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি তারিখে ৮১১৫ নং স্মারকে, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর তারিখ ৪৩৭ স্মারকে এবং ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট তারিখের ৩৭ স্মারকে তিনটি ওয়ারিশ সার্টিফিকেট গ্রহন করেন। সকল ওয়ারিশ সার্টিফিকেটেই মামলার বাদী শাহিন প্যাদার নাম ছিল।
আমতলী সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা, ২০২৫ সালের ১২ জানুয়ারি ২১৩ ও ২০৫ স্মারকে দুটি ওয়ারিশ সাটিফিকেট প্রদান করেন যাতে বাদী মো. শাহিন প্যাদার নাম নেই।
এঘটনায় মো. শাহিন প্যাদা ৪ মে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমতলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা, সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য মোসাম্মাৎ সাহিদা বেগম ও তার ভাই মো. ফারুক প্যাদাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। গত রবিবার ছিল মামলার হাজিরার তারিখ। ওই দিন নারী সদস্য সাহিদা বেগম ও ফারুক প্যাদা হাজির হলে আদালত তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। ওই মামলার প্রধান আসামী ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. সাইফুল আলম তার জামিন আবেদন না মজ্ঞুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার বাদী মো. শাহিন প্যাদা বলেন, মামলার তিন নম্বর আসামী আমার ভাই মো. ফারুক প্যাদা জাল ওয়ারিশ সার্টিফিকেট নিয়ে আমাকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য সেটেলমেন্ট অফিসে কাগজ পত্র জমা দিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে আমি ন্যায় বিচারের জন্য আদালতের শরনাপন্ন হয়েছি। আশা করি আদালতের নিকট ন্যায় বিচার পাবো।