পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে বরগুনার আমতলীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত খামারি ও গৃহস্থরা শত শত গরু নিয়ে হাজির হয়েছেন বাজারে। এবারের হাটে গরুর সরবরাহ আশাতীতভাবে বেড়েছে, যা ক্রেতাদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে। এতে করে বাজারে পশুর সরবরাহ যেমন বাড়ছে, তেমনি ক্রেতারাও পছন্দমতো গরু কিনতে পারছেন। অনেক খামারিরা দীর্ঘ সময় ধরে লালন-পালনের পর তাদের গরুগুলো বিক্রির জন্য এনেছেন এবং ভালো দাম পাওয়ার আশায় রয়েছেন। স্থানীয়দের মতে, গত বছরের তুলনায় এবার গরুর সংখ্যা অনেক বেশি। অধিকাংশ গরু দেশীয় জাতের, যেগুলো খামারে কিংবা বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে লালন-পালন করে বড় করা হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আযহায় কোরবানি করা মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.)-এর ত্যাগ ও আত্মসমর্পণের স্মৃতিকে চিরন্তন করে রাখে। ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী, কোরবানির জন্য গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, মহিশ ও উট কোরবানি দেওয়া যায়। পশুটিকে অবশ্যই নির্দিষ্ট বয়স ও শারীরিক সুস্থতার মানদণ্ড পূরণ করতে হয়।
হাট ঘুরে দেখা যায়, এবার দেশীয়ভাবে লালন-পালিত বড় আকারের গরু এসেছে বিপুল সংখ্যায়। কিছু গরুর দাম উঠেছে ২ লাখ টাকার ওপরে। এসব গরু অধিকাংশই স্থানীয় কৃষক ও খামারিরা বছর জুড়ে যত্ন করে পালন করেছেন।আমতলীর সঙ্গে আশপাশের এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় বিভিন্ন উপজেলা, এমনকি জেলা থেকে মানুষ গরু কিনতে এই বাজারে আসছেন। ট্রাক ও বড় গাড়িতে গরু আনা-নেওয়া করা হচ্ছে সারাদিন ধরে। প্রতি সপ্তাহের বুধবার গরুর বাজার বসে এবং কোরবানির আগে আর এ হাট না থাকায় ক্রেতা- বিক্রেতারা গরু বেচাকেনার জন্য বেশি ভীর করছেন।
এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকেও হাটে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।