1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চিরিররবন্দরে উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানু আটক চাঁদাবাজ রিয়াদে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী; চাঁদা না দিলেই শুরু হয়ে রিয়াদের মামলা বাণিজ্য কুড়িগ্রামে অটোরিকশা ও ডাম্প ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ বগুড়া শাহজাহানপুরে ২৫ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা ও ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ শামিম ও লিয়ন গ্রেফতার কেন্দুয়ার নিখোঁজ সাবেক ছাত্রদল নেতার বাড়িতে বিএনপি নেতা ড.রফিকুল ইসলাম হিলালী খুলনা জেলা বিএনপি নেতা মোমরেজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার: থানায় জিডি, তীব্র প্রতিবাদ শিবগঞ্জে তথ্য সংগ্রের সময় গণমাধ্যম কর্মীদের লাঞ্ছিত ও প্রতারনার চেষ্টা কুড়িগ্রামের ভুরুংগামারীতে ট্রাক-মাহিন্দ্রার সংঘ নিহত ২,আহত ৪ আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জোরপুর্বক তুলে নেয়ার চেষ্ট, দুটি ককটেল বিষ্ফোরণ -আহত ১০ ৯ বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক, ৩২ লাখ টাকার ব্রিজের সুফল বঞ্চিত মানুষ

আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জোরপুর্বক তুলে নেয়ার চেষ্ট, দুটি ককটেল বিষ্ফোরণ -আহত ১০

রাশিমুল হক রিমন
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে
আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধাকে ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ইউপি সদস্য মোঃ ফিরোজ খাঁন তাপসের নেতৃত্বে অর্ধ শতাধিক সদস্য জোরপুর্বক তুলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ইউপি সদস্য সোহেল খাঁনসহ ১০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা যুবদল সভাপতি ইউপি সদস্য ফিরোজ খাঁন তাপস ও রাসেল আকন নামের দুইজনকে আটক করেছে। ঘটনা ঘটেছে রবিবার বেলা ১১ টার দিকে খুরিয়ার খেয়াঘাট আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে।
জানাগেছে,  আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধাকে গত ১৬ জুন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে প্রবেশে বাঁধা দেয় আমতলী সদর ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ফিরোজ খাঁন তাপস। ওই সময়ে তিনি ( চেয়ারম্যান) আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোন ব্যবস্থা নেয়নি এমন অভিযোগ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠা মৃধা। এ ঘটনার তিন দিন পরে অর্থ্যাৎ ১৯ জুন উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে শ্যামলের চায়ের দোকানে চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে যুবদল সভাপতি ইউপি সদস্য ফিরোজ খাঁন ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে পুলিশে দেয়ার হুমকি দিয়ে জোরপুর্বক ২১ দিনের একটি দায়িত্বপত্রে স্বাক্ষর নেই। গত বৃহস্পতিবার ইউপি সদস্য ফিরোজ খাঁনে ২১ দিনের দায়িত্ব শেষ হয়। রবিবার সকাল ১০ টার দিকে চেয়ারম্যান মিঠু খুরিয়ার খেয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যান এবং সেবা কার্যক্রম শুরু করেন। ওই সময় যুবদল সভাপতি তাপস খাঁনের নেতৃত্বে অর্ধ শতাধিক সন্ত্রাসী  নিয়ে চেয়ারম্যানকে জোরপুর্বক টেনে হেঁচরে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সেবা নিতে আসা অর্ধ-শতাধিক নারী ও পুরুষ মানবপ্রাচীর তৈরি করে তাকে আটকে রাখে। এতে আরেক ইউপি সদস্য সোহেল খাঁন প্রতিবাদ করতে তাকে তাপসের লোকজন মারধর করে। ওই সময় তাপসের লোকজন দুইটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটনায়। এ সময় পরিষদ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে ১০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে সোহেল খাঁন (৩৫), রাহাত মোল্লা (২৫), সজিব (২০), সাব্বির (২২), আল আমিন (২৮) ও কামরুল (৩৫) আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ইউপি সদস্য সোহেল খাঁন  ও রাহাত মোল্লাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রবিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। অপর আহতদের আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। খবর পেয়ে নৌ-বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওইদিন বিকেলে আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারেক হাসান ও সহকারী পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম মাসুদ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ইউপি সদস্য ফিরোজ খাঁন তাপসের নেতৃত্বে অর্ধ শতাধিক যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিকদল নেতাকর্মী এসে ইউপি চেয়ারম্যানকে পরিষদ থেকে হেনে হেচরে তুলে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। এতে বাঁধা দিলে আরেক ইউপি সদস্য সোহেল খাঁনকে তারা মারধর করে। ওই সময় তারা দুইটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটনায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা বলেন, ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ইউপি সদস্য ফিরোজ খাঁন তাপস তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গত ১৯ জুন আমাকে অবরুদ্ধ করে জোরপুর্বক ২১ দিনের একটি দায়িত্বপত্রে স্বাক্ষর নেয়। রবিবার আমি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এসে কার্যক্রম শুরু করলে তাপস তার অর্ধ শতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে তুলে নিতে চেষ্টা করে। পরে সেবা নিতে আসা নারী ও পুরুষরা মানবঢাল তৈরি করে আমাকে রক্ষা করেন। নইলে ওরা আমাকে তুলে নিয়ে মেরে ফেলতো। তিনি আরো বলেন, এ সময় তাপস ও তার লোকজন দুটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটনায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ লুনা বিনতে হক বলেন, আহত দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানায় ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, নৌবাহিনীর লোকজন দুইজনকে আটক করেছে। তাদেরকে তারা থানায় সোপর্দ করেছে। অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী-তালতলী) সার্কেল মোঃ তারিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। ওই স্থানে দুইটি ককটেল বিষ্ফোরনের ঘটনা শুনেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারেক হাসান বলেন, নৌবাহিনী দুইজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে।  তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com