( ২মে ) বরগুনার আমতলী পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী আমতলী বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শ্রেণির প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়নের ফলাফল প্রকাশ করেছেন । বিদ্যালয়টি ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন শিক্ষানুরাগী সাবেক এমপিএ জনাব মফিজ উদ্দিন তালুকদার প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাতার সহযোগী হিসেবে ছিলেন জনাব দলিল উদ্দিন মৃধা । উক্ত ফলাফল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রতিষ্ঠানটির জমি দাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জনাব অশোক কুমার মজুমদার। প্রধান শিক্ষক জনাব জাকির হোসেন খাঁন। সহকারী শিক্ষক জনাব মাইনুল ইসলাম ও অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক বলেন –
আমাদের শিক্ষার্থীরা জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা বিকাশে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান, শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা গঠনে আমাদের শিক্ষকগণ আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি অভিভাবকদের সহযোগিতা এবং শিক্ষার্থীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমাদের প্রতিষ্ঠান ক্রমাগত অগ্রগতি লাভ করছে।
আমি আশা করি, আমাদের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে দেশ ও জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাদের মননশীল, দেশপ্রেমিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
জমি দাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জনাব অশোক কুমার মজুমদার বলেন –
শিক্ষা মানুষের জীবনে আলোকবর্তিকা স্বরূপ। একটি বিদ্যালয় শুধু জ্ঞানের উৎস নয়, বরং একটি জাতির ভিত্তি গঠনের কারিগর। আমি গর্বিত যে, আমার সামান্য দান এই মহৎ উদ্দেশ্যকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার পথ সুগম করতে পেরেছে।
আমার গভীর বিশ্বাস, এই বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, দেশপ্রেম, মানবিকতা ও সুশিক্ষায় গড়ে তুলবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এখান থেকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে—এই আশা নিয়ে আমি আমার জমি দান করেছি।
আমি কৃতজ্ঞ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি, যারা এই প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমার এই সামান্য অবদান যদি জাতির জন্য উপকারী হয়, তবেই আমার দান সার্থক হবে।
ভবিষ্যতে বিদ্যালয়টি আরও সাফল্য অর্জন করুক, শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করুক—এই কামনাই করি।