আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ জলবায়ু ধর্মঘট। “আমাদের ভবিষ্যৎ বিক্রি করো না”—এই প্রতীকী স্লোগানে একত্রিত হন ১,০০০-এরও বেশি তরুণ জলবায়ু কর্মী, সমাজকর্মী এবং সাধারণ মানুষ।
ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার- বাংলাদেশ প্লার্টফর্মের সাথে এই জলবায়ু ধর্মঘটের নেতৃত্ব দেয় একশান এইড বাংলাদেশ। এই জলবায়ু ধর্মঘটের সহ-আয়োজক হিসাবে নেতৃত্ব দেয় সোসাইটি ফর একশান এন্ড ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ (সাদা)বাংলাদেশ।
তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রায় ৩৫টিরও বেশি যুব ও নাগরিক সংগঠন।
সকাল থেকে শুরু হওয়া এই শান্তিপূর্ণ ধর্মঘটে জলবায়ু ন্যায়বিচার ও মানবিক অধিকারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি, রং-বেরঙের প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন, জলবায়ু ভিত্তিক শিল্পকর্ম এবং সরাসরি বক্তৃতার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়।
সাদা বাংলাদেশের বিভিন্ন টিমের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে পুরো কর্মসূচিকে গতিশীল ও অর্থবহ করে তোলে। তারা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশা তুলে ধরেন এবং রাষ্ট্র ও বিশ্ব নেতাদের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
এই আয়োজনে এক বক্তৃতায় সাদা বাংলাদেশের ফাউন্ডার শরীফ হাসান ব্যাপী বলেন, “উন্নত বিশ্বের অতিরিক্ত গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরনের ফলে আমাদের মতোন গ্লোবাল সাউথের দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অথচ ক্ষতিপূরণ হিসাবে তারা প্রতিশ্রুত জলবায়ু ফান্ডে ফাইন্যান্স করছেনা। আমাদের জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।”
এছাড়াও উক্ত আয়োজনে অনেক বক্তাই ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ ও তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন।
Global Climate Strike 2025–এর অংশ হিসেবে এই ধর্মঘটের মাধ্যমে বাংলাদেশের যুবসমাজ একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে: জলবায়ু সংকট এখন আর ভবিষ্যতের বিষয় নয়, বরং বর্তমানের তীব্র বাস্তবতা। এই সংকট মোকাবেলায় অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে চরম মূল্য দিতে হবে।