1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
যশোরের ‘আড্ডাখানা’ রেস্তোরাঁয় পঁচা ও বাসি খাবার বিক্রি, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আমি অটো চালক, আমি কি আমার মেয়ে ইস্পিতার মৃত্যুর রহস্য খুঁজে পাবো টঙ্গীতে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে চাঁদা দাবির অপরাধে গ্রেফতার রাতে ঢালাই রাত বারোটায় ডেবে যায় ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডু প্রেসক্লাব দখল করে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানদের দুর্নীতির রক্ষক হয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন দুই কথিত সাংবাদিক যশোর হামিদপুর আল-হেরা কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র বিতরণ ও “সোনালী বন্ধন” এর মোড়ক উন্মোচন পলাশবাড়ীতে দিনব্যাপী স্কাউটস কাব কার্নিভাল অনুষ্ঠিত সিলেট জেলার এনসিপির সমন্বয় কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম সাকিব -কে ওসমানীনগর এনসিপির শুভেচ্ছা খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের মধ্য ফুলবাড়ীর গ্রামীণ রাস্তা সংস্কারের উদ্বোধন নওগাঁয় ছদ্মবেশে দুদক নির্বাচন কার্যালয়ে মিলেছে অনিয়ম

আমি অটো চালক, আমি কি আমার মেয়ে ইস্পিতার মৃত্যুর রহস্য খুঁজে পাবো

মোঃ আজাদ - ভোলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে
সম্প্রতি ভোলায় গত ১৭ই জুন ভোলা থেকে ঢাকাগামী কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতা বলে গুনজোন উঠেছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে ৪ দিন পড় লক্ষ্মীপুর সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে গত ২২ই জুন (সোমবার) বিকেলে ইপ্সিতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বলে তথ্যটি নিশ্চিত করছেন ইপ্সিতার বাবা মোঃ মাসুদ রানা।
গত ২১ জুন (রবিবার) রাতে লক্ষ্মীপুর থানাধীন মেঘনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা নৌ-পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে তা ভোলা সদর মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় জানায়। পরবর্তীতে লক্ষ্মীপুর নৌ-থানা মরদেহের পরিচয় পেতে বিলম্ব হওয়ায় ২২ই জুন সকালে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লক্ষ্মীপুর আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম কর্তৃক মরদেহটি দাফন করা হয়েছে। ভোলা সদর মডেল থানায় ইপ্সিতার বাবার দায়ের করা সাধারণ ডায়েরির আলোকে থানা পুলিশ ইপ্সিতার পরিবারকে লক্ষ্মীপুর নৌথানায় এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে মর্মে খবর দেয়। তাৎক্ষনাত ইপ্সিতার বাবা মরদেহর ছবি দেখে নিশ্চিত হন মরদেহটি তার মেয়ের।
সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতা ভোলা সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেত্রী ও অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি কলেজ ছাত্রদল আসন্ন কাউন্সিলে গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রার্থী ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৭ই জুন সকালের দিকে বাসা থেকে প্রাইভেট পড়ানোর নাম বলে বের হন তিনি। পরে আর সে বাসায় ফিরেনি। এ ঘটনায় ইপ্সিতার বাবা মাসুদ রানা ভোলা সদর মডেল থানায় একদিন পর নিখোঁজ দাবি করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইপ্সিতার সহপাঠীদের ভিতরে বিভিন্ন প্রকার প্রশ্ন করতে দেখা গিয়েছে। কেউ বলছে এটি পরিকল্পিত হত্যা আবার কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করছেন ইপ্সিতা লঞ্চে ধর্ষণের শিকার হয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে এবিষয়ে ছাত্রদল নেত্রী ইপ্সিতার পরিবারের বক্তব্য, তারা কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন না। কিন্তু এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা তদন্ত করে বের করার দাবি জানিয়েছেন তার পরিবারের স্বজনরা।
এবিষয়ে লঞ্চের সুপারভাইজার নান্টু বাবু জানান, ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে সকাল সোয়া ১০ টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে কর্ণফুলী-৪। কালিগঞ্জ ঘাট পার হওয়ার কিছু সময় পর তিনি খবর পান, এক নারী তৃতীয় তলা থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চটি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি গিয়ে লাইফবয়া ফেলা হয়। একবার ওই তরুণীকে নদীতে ভাসতে দেখা গেলেও কাছে পৌঁছানোর আগেই তিনি চোখের আড়াল হয়ে যান।পরে ঘণ্টা খানেক খোঁজাখুঁজির পর কোস্টগার্ডকে জানিয়ে লঞ্চটি ঢাকার পথে রওনা দেয়।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী লঞ্চ কোম্পানির ম্যানেজার আলাউদ্দিন জানান, ১৭ই জুন সকালে কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ থেকে মেহেন্দিগঞ্জের পরে ইলিশা থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে লঞ্চের তৃতীয় তলা থেকে এক তরুণী নদীতে ঝাঁপ দেয়। লঞ্চের মাস্টার খবর পেয়ে এক ঘন্টা ব্যাপী তাকে উদ্ধারের জন্য লঞ্চ বেক গিয়ার দিয়ে খোঁজাখুঁজি করে। তাকে না পেয়ে পরে লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যায়। এ ঘটনায় লঞ্চে থাকা অন্য আরেক নারী ৯৯৯-এ কল দিয়ে ঝাঁপ দেওয়া তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ দেয়। পরে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পুলিশ ওই লঞ্চ থেকে দুজন স্টাফ ও অভিযোগকারীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। ঘটনার প্রাথমিক তথ্য জেনে পরে পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
এই ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ থানার প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম দ্বীপজেলা ভোলার প্রখম মুখপত্র “দৈনিক আজকের ভোলা” পত্রিকা অফিসকে জানান, ১৭ তারিখ কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ থেকে একটি নারী ধর্ষনের শিকার হয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করছে বলে ৯৯৯-এ অভিযোগ আসে।পরে পুলিশ ওই লঞ্চের দুই স্টাফ এবং অভিযোগ কারীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার তথ্যাদি সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত না হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর নৌ-পুলিশের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার জন্য ভোলা থেকে সিনিয়র সাংবাদিকরা একাধিক বার চেষ্টা করলে ও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com