“গ্রন্থাগারে বই পড়ি,স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্য-কে সামনে রেখে
*ইনফাক ওয়েলফেয়ার সোসাইটি পাঠাগার* (গোপালপুর, আলফাডাঙ্গা ফরিদপুর) এর উদ্যোগে ৫ই ফেব্রুয়ারী জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৫ই ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
দেশের জনগণের মাঝে বই পড়ার উৎসাহ তৈরী করা এবং সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সকল গ্রন্থাগারগুলোর কার্যক্রম আরও গতিশীল ও সুন্দর করতে দেশব্যাপী এ দিবসটি উদ্যাপন করা হয়ে থাকে।
ইনফাক ওয়েলফেয়ার সোসাইটি পাঠাগার কতৃক আয়োজিত জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের অনুষ্ঠানটি বীর মুক্তিযোদ্ধা খান আসাদুজ্জামান টুনু-এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন,বীর মুক্তি যোদ্ধা খান জাফর আলি, মুন্সি আবুল হাসান, ফেরদৌস খান ও জাহেদা খানম প্রমুখ।এসময় বক্তাগণ বলেন যে, বই জ্ঞানের প্রতীক। বই মানুষকে জ্ঞানী করে। বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়না। জ্ঞানের জন্য, জানার জন্যই বই।
ইতিহাস হচ্ছে অতিতের ঘটনা। তাই ইতিহাস জানাটা অত্যন্ত জরুরী। যে জাতি তার ইতিহাস জানে না, সে জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। তাই সামনে এগোতে প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে, আর ইতিহাসের সেই গল্প লেখা আছে বইয়ে, আর সেই বই সংরক্ষিত আছে গ্রন্থাগারে। সুতরাং জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে গ্রন্থ, গ্রন্থাগার, পাঠক এবং গ্রন্থাগারিকতার শব্দগুলো একই সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে গুরুত্বের সাথে।আমরা জানি, যে জাতির গ্রন্থাগার যত সমৃদ্ধ, সে জাতি তত উন্নত। তাই জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদ্যাপনের মাধ্যমে, আমরা সুন্দর আগামী প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারব—এই হোক আমাদের সকলের প্রত্যাশা।