1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৫ অপরাহ্ন

আলোহীন পাঁচ্চর গোলচত্বরে সন্ধ্যা হলেই বিপদের শঙ্কা

মো: অপি মুন্সী
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু মাদারীপুরের শিবচরে এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বরের বাস স্টপেজে কোন আলো না থাকায় প্রায়ই ছোট-বড় ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছেন এ পথে চলাচলকারী যাত্রীরা। এ অবস্থায় যাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। দেশের বস্ততম এই এক্সপ্রেসওয়ে পাঁচ্চর গোলচত্বর থেকে রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করে। কিন্তু এক্সপ্রেস ওয়ের গোলচত্বরে কোন ল্যাম্পপোস্ট না থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। এই গোলচত্বর দিয়ে রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন পেশার মানুষের চলাচল করতে হয়। আর রাতে আলো না থাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে ও নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে হয় নারী যাত্রীদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক্সপ্রেসওয়ে গোলচত্বরে কোন ল্যাম্পপোস্টই নেই। অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে আছে গোটা এলাকা। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার তার মধ্যে দূরপাল্লার বাসগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে দ্রুতগতিতে যাতায়াত করছে। অন্ধকারেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যানবাহনের জন্য যাত্রীদের। রাতে গোলচত্বরে আলো না থাকায় ওঁৎ পেতে থাকা একদল চোর-ছিনতাইকারী চক্র মাঝেমাঝে হুমকি-ধমকি দিয়ে মোবাইল, টাকা-পয়সাসহ অন্য মূলবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দা মো: সোহেল শেখ বলেন, আলোবিহীন গোলচত্বর থাকায় অনেক ছিনতাই চুরির ঘটনা বা নারী যাত্রীদের সাথে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। সরকার হাজার কোটি টাকা খরচ করে এত সুন্দর একটি স্থাপনা তৈরি করেছে সেখানে আলো থাকবে না বিষয়টি দুঃখজনক। সরকারের কাছে অনুরোধ গোল চত্বরে যেন লাইটিং এর ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। পাঁচ্চর গোল চত্বরে যাত্রাবাড়ী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মো. মিরাজ মোল্লা। তিনি যায়যায়দিনকে বলেন, যেখানে বাস দাঁড়াবে, সেই জায়গাটা অর্থাৎ গোলচত্বরের বাস স্টপেজটা অন্ধকার। সেজন্য এদিকে দূরে এসে আলোতে দাঁড়িয়েছি। বাস এলে ওদিকে যাবো। অন্ধকারে দাঁড়ালে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ার ভয় আছে। আরেক যাত্রী তাসলিমা আক্তার বলেন, জরুরী কাজে ঢাকা যাচ্ছি। অন্ধকারে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। ভয় লাগছে, কখন কী হয়ে যায়। এখানে সোলার প্যানেল ল্যাম্পপোস্ট থাকাটা ‍জরুরী। স্থানীয় নাগরিক সমাজের বক্তব্য, নিরাপদ যান ও যাত্রীদের চলাচল এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে রাতে এই গোলচত্বরে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সচল থাকা প্রয়োজন। এভাবে গোলচত্বরটিকে নিরাপত্তাহীনতায় রেখে দেওয়ায় সেখানে কোনো দুর্ঘটনা বা অঘটন ঘটলে তার দায় কে নিবে?। এক্সপ্রেসওয়েটির দেখভালের দায়িত্বে আছে মুন্সিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথের (শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এম. এম. হানিফ মুঠোফোনে যায়যায়দিনকে বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে পাঁচ্চর গোল চত্বরে ল্যাম্পপোস্টর স্থাপনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে শিগগিরই বিষয়টি অবগত করা হবে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com