উওর বঙ্গের পাশাপাশি দুই জেলা নীলফামারী ও পঞ্চগড়ে প্রতিবারের ন্যায় এবারও ব্যাপক টমেটোর আবাদ হয়েছে। এই অঞ্চলের টমেটো দেশের বিভিন্ন স্থানে চাহিদা পূরণ করে থাকে। টমেটো চাষীদের কাছ থেকে স্থানীয় ও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পাইকার বা মহাজনেরা কাঁচা পাকা টমেটো কিনে স্থানীয় বাজার ও দূরদূরান্তের বাজারের চাহিদা মেটানোর জন্য আরদে সংরক্ষণ করে যে পরিমাণ টমেটো মজুদ করেছে তা পুরো দেশের বাজারে প্রায় দু থেকে আড়াই মাস চাহিদা মেটাতে পারবে। এবারে প্রাকৃতিক আবহাওয়া জনিত কারণে গুডাউনের সংরক্ষণকৃত টমেটো বেশিরভাগ পচন ধরছে অনেক যত্ন ও তদারকি করে মজুতকৃত টমেটো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। প্রত্যেকদিন দু-চার ট্রাক লোড করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছাচ্ছে। এব্যাপারে সার্বিক বিষয়ে বেশ কিছু টমেটো ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বললে তেনারা বলেন দেশে যে পরিমাণ টমেটো আবাদ হয়েছে তা দিয়েই দেশের চাহিদা পূরণ করে বাইরের দেশে রপ্তানি করার সক্ষমতা রাখি কিন্তু দুঃখের বিষয় দেশীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীর দিকে না তাকিয়ে ভারত থেকে আমদানি করছে নিম্ন মানের হাইড্রোজ ও ফর্মালিন দেওয়া টমেটো যা শুধু কৃষকদেরই ক্ষতি নয় যারা এই ফরমালিনযুক্ত টমেটো খাচ্ছে তাদের শারীরিক সুস্থতা সহ বিভিন্ন ঝুঁকির মুখে পরছে। তাই দেশীয় আবাদকৃত পণ্য টমেটোর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ভারত থেকে টমেটো আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা । এভাবে দেশীয় কৃষক ও কৃষি পণ্যের প্রতি অবহেলা দেখালে আগামীতে ক্ষতির বোঝা মাথায় নিয়ে কৃষক আর মাঠে কাজ করবে না বলে ব্যবসায়ীদের ধারণা।