কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ ছাত্র জনতার স্মরণ সভায় প্রথম সারিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র -জনতার আন্দোলনের বিরোধিতাকারী আওয়ামীলীগ নেতারা দাওয়াত পেলেও স্থানীয় সাংবাদিকরা দাওয়াত পাননি। এ নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী ও সচেতন মহলে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়,গত ২৮ নভেম্বর( বৃহস্পতিবার) ঈদগাঁও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিগত অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ ছাত- জনতার স্মরণে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমা যোগদানের পর এই প্রথম উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারি কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। উপজেলা কার্যালয় সংলগ্ন ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা বিদ্যালয় হল রুমে আয়োজিত এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠানের সামনের প্রথম সারিতে দেখা যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র -জনতার আন্দোলনের বিরোধিতাকারী কথিত মুক্তিযোদ্ধা ডা: শামশুল হুদাকে। টিক তার বিপরীত সারির আসনে ছিলে নবাগত ইউএনও সুবল চাকমা।এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে অভ্যুত্থানের পর রং পাল্টানো আরো অনেক আওয়ামী দেসরের উপস্থিতি ছিল। তবে লক্ষনীয় ছিল যে উক্ত সরকারি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী দোসর থেকে শুরু করে সমশ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা আমন্ত্রণ পেলেও উপজেলার মূল ধারার গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিত দেখা যায়নি।অনেকের সাথে কথা হলে ক্ষোভের সাথে জানান,তারা দাওয়াত না পেলেও অভ্যুত্থান বিরোধী আওয়ামী চক্রদের সদস্যরা টিকই দাওয়াত পেয়েছে এবং তাদের উপস্থিতি ছিল সামনের সারিতে। তারা আরো জানান,বিগত ইউএনও সুবল চাকমার সময়েও উপজেলা প্রশাসন কতৃক আয়োজিত কোন সরকারি বা বেসরকারি অনুষ্ঠানে কোন গণমাধ্যম কর্মীকে জানানো হতনা।কারণ তিনি বিগত আওয়ামী সরকারের দোসরদের বাইরে কোন কিছুই করতেননা এবং উপজেলা কার্যালয়কে অঘোষিত আওয়ামী কার্যালয়ে পরিণত করেছিল।এমন কি আওয়ামী সরকার পতনের পরও তার এ আওয়ামী চরিত্র অব্যাহত ছিল। গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্ন তাহলে কি এখনো উপজেলা প্রশাসন অতীতের মত আওয়ামী দোসর কিংবা গণমাধ্যম বিরোধী চক্রের নিয়ন্ত্রণে!নয়ত নবাগত ইউএনও বিমল চাকমা যোগদানের পর প্রথম আয়োজিত অনুষ্ঠানে চিহ্নিত আওয়ামী দোসররা আমন্ত্রণ পেল এবং সামনের সারিতে স্থান পেল কিভাবে?অথচ মূল ধারার কোন গণমাধ্যম কর্মী আমন্ত্রণ পেলেন না। তবে কি উপজেলা প্রশাসনের অভ্যন্তরে পতিত আওয়ামী শাসনের গণমাধ্যম বিরোধী কোন চক্র কি উপজেলা প্রশাসনকে অতীতের ইউএনও’র সময়ের উপজেলা প্রশাসনকে প্রভাবিত করছে? বিগত ইউএনও সুবল চাকমার সময়েও চক্রটি গণমাধ্যমের সাথে উপজেলা প্রশাসনের দূরত্ব সৃষ্টি করে সেই সুযোগে এমন কিছু কাজ করে গেছেন, যা নিয়ে এখনো উপজেলা জুড়ে তীব আলোচনা সমালোচনা চলছে।বিগত ইউএনও এ চক্রটির ফাঁদে পড়ে উপজেলাবাসীর কল্যাণে দৃশ্যমান কোন ভুমিকাই রেখে যেতে পারেননি।গণমাধ্যম কর্মীরা নবাগত ইউএনও’র সময়ে পূর্বের ইউএনও’র মত ভুমিকা আশা করেননি। তাদের প্রত্যাশা নবাগত ইউএনও বিমল চাকমা উপজেলাবাসীর জনকল্যাণে এবং জনবান্ধব হিসেবে নিজেকে সমশ্রেণি পেশার জনগণের জন্য নিজেকে নিবোদিত করবেন এবং উপজেলার উন্নয়নে ভুমিকা রাখবেন । ঈদগাঁও উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি সেলিম উদ্দিন জানান, উপজেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এ সরকারি অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম কর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।তবে আগের মত সামনের সারিতে উপস্থিতি ছিল পতিত আওয়ামী নেতা শামশুল হুদাসহ অনেক দোসরদের।
উপরোক্ত বিষয়ে ঈদগাঁও প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক শেফাইল উদ্দীনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে তার সংগঠন নিমন্ত্রণ পাননি।তবে পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায় গণমাধ্যম কর্মী ছাড়া অনেকেই উপস্থিত ছিল।লক্ষনীয় ছিল যে ছবিতে অনুষ্ঠানের প্রথম সারিতে ইউএনও বিমল চাকমার বিপরীতে প্রথম সারিতে অভ্যুত্থান বিরোধী আওয়ামীলীগ নেতা কথিত ডা: শামশুল হুদার আসন।এ ছাড়া ছবিতে আরো আওয়ামী দোসর ও গণমাধ্যম বিরোধী চক্রের উপস্থিতি চোখে পড়েছে। উপরোক্ত বিষয়ে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অনুষ্ঠানের কথা স্বীকার করে বলেন,তিনি সাংবাদিকদের আমন্ত্রণের চেষ্টা করেছন,তবে আওয়ামীলীগ ও তার দোসরদের উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে কোন উত্তর দিতে পারেননি।