পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মু. নিয়াজ আকনকে নিয়ে গুজব এবং প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার উপজেলা সদরসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এ কর্মসূচী করে নেতাকর্মীরা।জানা গেছে, গত ১৮ নভেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে রাঙ্গাবালী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মু. নিয়াজ আকনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন বলে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি সামাজিক মাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে। এ নিয়ে হইচই বাধলে সেই চিঠি নজরকারে যুবদলের কেন্দ্রীয় দুই নেতার। বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে অবগত নয় কেন্দ্রীয় নেতারা। অবশেষে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি ভূয়া উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ভেরিফাইড ফেইসবুকে প্রকাশ করা হয়।স্থানীয় যুবদলের নেতাকর্মীরা জানায়, লড়াই সংগ্রামে উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীদের একই সুঁতায় গেঁথে রেখেছে মু. নিয়াজ আকন। দলের দুর্দিনে কর্মীদের প্রাণভ্রমর ছিল তিনি। ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদ সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মু. নিয়াজ আকন কোন ধরনের অন্যায়ের সাথে জড়িত হননি, কাউকে হতে উৎসাহ দেয়নি। এমন নেতাকে নিয়ে যারা রাজনৈতিক স্বার্থহাসিলের জন্য লেগেছে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মু. নিয়াজ আকন বলেন, আমি ১৭ বছর দলের সাধারণ কর্মী হয়ে কাজ করছি। আজ দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। সেই দায়িত্ব সততা ও বিচক্ষণতা সহিত আমি পালন করছি। কিছু লোক আমার নেতৃত্ব ও দলের প্রতি আনুগত্য দেখে তারা ঈর্ষান্বিত। ৫ আগস্টের পরে থেকে আমার উপজেলায় কেন্দ্রীয় ঘোষিত সকল নীতিনিয়ম পালন করছি। আমি কিংবা আমার দলের কেউ অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে যায়নি। দেশে শান্তি বজায় রেখেছি। আমাকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে। গত ১৮ তারিখে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্যাড ও দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বহিষ্কার ভূয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছড়ানো হয়। নিশ্চিত এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। আমি এর নিন্দা জানাই এবং তাদেরকে আহবান করছি, প্রোপাগান্ডা না ছড়িয়ে কাঁধে কাধ মিলিয়ে দলের জন্য কাজ করি।