আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মনোনয়ন প্রত্যাশী, কয়রা উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ গোলাম রব্বানী একটি ব্যতিক্রমী ইশতেহার নিয়ে কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। শনিবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এই সভায় তিনি কয়রা-পাইকগাছার মানুষের বহুদিনের বঞ্চনা ঘোচানোর প্রতিশ্রুতি দেন, যা উপস্থিত সাংবাদিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এনসিপির এই মনোনয়ন প্রত্যাশী তার বক্তব্যে খুলনা-৬ আসনের জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও দূরদর্শী পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি নির্বাচিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে কাজগুলো করবেন,ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এই অঞ্চলের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি, স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধের নিশ্চয়তা। কয়রা সদরে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা। সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে আধুনিক পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা এবং জেলে-বাওয়ালীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
কয়রা সদরে একটি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ।
বনদস্যু নির্মূল করে এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।অবহেলিত দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নে পরিবেশবান্ধব কলকারখানা স্থাপন করে স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা।
কয়রা ও পাইকগাছাকে আধুনিক ও বাসযোগ্য জনপদ হিসেবে গড়ে তোলা।
মতবিনিময় সভায় গোলাম রব্বানীর এই গণমুখী ইশতেহারকে স্বাগত জানান বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মীরা। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যুব শক্তি খুলনা জেলা সংগঠক নুরুজ্জামান হোসেন, জুলাই আন্দোলনের চোখ হারানো যোদ্ধা বুলবুল আহমেদ ও যোদ্ধা আলতাফ মাহমুদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক আজারুল ইসলাম মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মারুফ বিল্যাহ, এনসিপির কর্মী শিক্ষক দিপক কুমার মিস্ত্রি, মোমতাজুল ইসলাম এবং বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।
নির্বাচনী ময়দানে সাংবাদিক গোলাম রব্বানীর এই প্রতিশ্রুতিভিত্তিক ইশতেহার কয়রা-পাইকগাছার রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করল বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।