নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানের দোকানদার, চায়ের দোকানের কারিগর,কাপরের দোকানের কর্মচারী ও কিছু কৃষক ও টোকাই মার্কা ছেলে নিজেকে পরিচয় দেন আমি একজন অনলাইন সাংবাদিক।আমি ফেসবুক সাংবাদিক। কিন্তু এদের নেই কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই নিয়োগপত্র নেই কোন বারকোড সম্বলিত আইডি কার্ড নেই তবুও সে সাংবাদিক । অনেকেই আবার নিজে নিজেই সম্পাদক সেজে আইডি কার্ড তৈরী করে গলায় ঝুলিয়ে গাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে পরিচয় দেয় আমি সাংবাদিক। এরকম অনেক সাংবাদিক আবার করেন বিভিন্ন রকম দালালি, চালাতেন ভাড়া মোটর সাইকেল,চালাতেন জুয়ার আসর,বিক্রি করেন মামলার তদবীর ও নেশা জাতীয় দ্রব্য।
এভাবেই এক সময় সে কর্মজীবনে ব্যস্ত সময় পার করতেন। এরা হঠাৎ হয়ে গেল সে একজন সাংবাদিক এদের বিষয়ে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জানা যায় আসলে এরা ভুয়া সাংবাদিক । এদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার মানুষ বিভিন্নভাবে এদের কাছে প্রতারনার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত চাঁদা বাজি সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে, পক্ষ পাতিত্ব বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। এরা ছিএনজি স্টেশনে চাদা বাজি, গাড়িতে উঠে গাড়ি ভাড়ার দর দরদাম ও সাংবাদিক পরিচয়, মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নেয় মাসিক চাঁদা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কাছ থেকে নেয় মাশহারার টাকা। সাংবাদিকতার নামে চলছে তাদের চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী। জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারগুলিতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজনদের কাছ থেকে বিভিন্ন রকম খারাপ ভাষাও শুনতে হয়।
কিশোরগঞ্জে ব্যাঙের ছাতার ন্যায় বাড়ছে সাংবাদিক ও বিভিন্ন মানবাধীকার সংস্থা সহায়তার নামে সংগঠনের চাদা দাবী পরিচয়ে এদের নাই কোন পত্রিকা বা মিডিয়া। এরা নিজেরাই বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন বানিয়ে সারাদিন পোস্ট করে। এ পত্রিকা গুলি কোনদিন সূর্যের মুখ দেখেনি এবং এদের কোন সরকারি অনুমোদন পর্যন্ত আছে কি না সন্দেহ আছে । একটি নাম ও লোগো লাগিয়েই পত্রিকা বানানো হলো এদের কাজ। বিভিন্ন সময় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে অনর্থক ফেসবুকে এটা ওঠা বিতর্কিত কিছু পোস্ট করে বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে ঘুরাঘুরি করে চাঁদাবাজি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । এরা ৫০ -১০০ টাকা দিয়ে কম্পিউটারের দোকান থেকে কার্ড বানিয়ে নিজেরাই সাংবাদিক। এরা বিভিন্ন অফিস আদালতে চাদাবাজি করে, চাঁদা না দিলেই নিউজ ও ভুয়া মানবাধিকার কর্মীর পরিচয় দিয়ে নিউজের হুমকি দেয়। এদের টাকার উৎস হল বিভিন্ন রাস্তার কাজ, ক্যানেল ব্রিজ , বেকারি, সেমাই ফ্যাক্টরি, ভূমি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাঁদাবাজি করাই এদের কাজ। এদের নাই কোন একাডেমিক সার্টিফিকেট। অনেক সময় চাঁদা না দিলে অফিসে সন্ত্রাসী হামলা পর্যন্ত চালায়। এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারা। এরা মূলধারার সাংবাদিকদের হ্যায় প্রতিপন্ন করে বিভিন্ন জায়গায় বদনাম সহ বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন ধরনের অনর্থক কথা বার্তা বলাবলি করে। এরা বিভিন্ন অফিসে বিভিন্ন মহলে গলায় কোমড়ে কার্ড ঝুলিয়ে বড় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বেড়ায়। এদের গ্রাজুয়েশন তথ্য যাচাই বাচাই করে বাকি গুলোকে আইনের আওতায় এনে সাংবাদিকতা পেশাকে সম্মানজনক স্থানে রাখার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।