রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সহকারী রেজিস্ট্রার আশরাফুল ইসলামের বাবা, মা এবং খালাকে পবিত্র ওমরাহ করানোর আশ্বাস দিয়ে এক প্রতারক কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল। ওই ঘটনায় পীরগঞ্জ থানার পুলিশ তথ্য, প্রযুক্তির সহায়তায় ঠিকানা উদঘাটনের পর সোমবার নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা থেকে প্রতারক কামাল হোসেন ইমন (৩৭) কে গ্রেফতার করেছে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরীর ৫৪ নং ওয়ার্ডের তুরাগ থানার ভাটুলিয়ার (কামারপাড়া) আকবর হোসেনের ছেলে কামাল হোসেন ইমন (৩৭)। তিনি নিজেকে কখনো মানবাধিকার কর্মী, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা বা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে প্রতারণা করে আসছে। চলতি বছরের শুরুতে পীরগঞ্জের বড় করিমপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে বেরোবির সহকারী রেজিস্ট্রার আশরাফুল ইসলামের বাবা, মা, খালাকে ওমরাহ হজ্বে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে প্রতারক ইমন ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে নিয়ে আত্মসাত করে গা ঢাকা দেন। একপর্যায়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারী বেরোবির ওই সহকারী রেজিস্ট্রার অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে পীরগঞ্জ থানায় ৪০৬/৪২০ ধারায় মামলা করেন। মামলা নং-০৪, তারিখ-০৫/০২/২০২৫ খ্রিঃ। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামরুল ইসলাম তথ্য প্রযুক্তির বিশ্লেষণ এবং ব্যাংক হিসাব বিবরণী পর্যালোচনা করে প্রতারনার সাথে জড়িত আসামির পরিচয় ও অবস্থান সনাক্ত করেন। সোমবার প্রতারক ইমন কে তার শ্বশুরবাড়ী নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের ঠাকুর লক্ষীকুল গ্রামের শাহা আলম মিয়াজীর বাড়ীতে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় গ্রেফতার করেন।
ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, সাধারণ মানুষ কে কখনো মানবাধিকার কর্মী, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা এবং কখনো ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে কামাল হোসেন ইমন পরিচয় দিয়ে সখ্যতা গড়ে তুলে টাকা আত্মসাৎ করে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। একপর্যায়ে সে নিজের নাম-পরিচয় গোপন রেখে প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দেয়। তিনি আরও বলেন, ওমরাহ হজ্বের মত ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে কথা বলে ভুক্তভোগীদের বোকা বানিয়ে ইমন প্রতারনামূলকভাবে টাকা নিয়ে নেয়ার চক্রের মূল হোতা। প্রতারক চক্রটির সাথে জড়িতদের সনাক্তসহ গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।