কক্সবাজারের হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের (চবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩ –২৪ সেকশনের তিন শিক্ষার্থী, এদে মধ্যে এক জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম কে এম সাদমান রহমান সাবাব, তিনি ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা কে এম আনিছুর রহমানের ছেলে, নিখোঁজ দুজন হলেন, আসিফ আহমেদ ও অরিত্র হাসান, তাদের দুজনের বাড়ি বগুড়ায়।
তিন জনই বিশ্ব বিদ্যালয়ের শহীদ মো,ফরহাদ হোসেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থী,
তাদের সঙ্গে ঘুরে আসা আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে আমরা হিমছড়ি জাদু ঘর সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতে যাই সেখানে ঘটে দুর্ঘটনা, তিনি আরও বলেন ছবি তোলার সময় বৃষ্টি শুরু হলে আমরা দুজন দৌড়ে ছাতার নিছে এলে ও বাকি তিন জন সাগরে থেকে যায়, বারবার ডাকার পরও তারা আসছি আসছি বলতে থাকে।
এমন কি মাছ ধরতে থাকা মাঝিরা ও তাদের উঠে যেতে বলেছে, এক পর্যায়ে তারা পানিতে তলিয়ে যায়। কিছু সময় পর সাবাবের মরদেহ তীরে ভেসে আসে, অন্য দুজনকে আর পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজার হিমছড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক সোম নাথ বসু বলেন,
মৃত কে এম সাদমান রহমান সাবাব চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী, তার বাড়ি ঢাকা মিরপুরে, সাবাবের দুই নিখোঁজ বন্ধু হলেন –অরিত্র হাসান ও আসিফ আহমেদ,
আমরা সৈকতে আছি তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম বলেন , সাগর এতো উত্তাল সেখানে ডুবুরি নামাও কষ্টের হয়ে পড়েছে। স্রোত অনেক বেশী আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
সি– সেইফ লাইফ গার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মী মো, ওসমান বলেন তারা যখন সমুদ্রে নামেন উত্তাল জোয়ার ছিল, দুপুর ১২টায় ভাটা হওয়ার পর
ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে লাইফ গার্ডের কর্মীরা ও চেষ্টা করছে উদ্ধারের।
তবে সাগর উত্তাল থাকায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইদ বিন কামাল চৌধুরী বলেন,
সোমবার রাতে প্রথম বর্ষের চার শিক্ষার্থী কক্সবাজারে ঘুরতে যান।
তারা নিজ উদ্যােগে সেখানে গিয়েছেন , এর মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্হানীয় জেলেরা , অন্যরা এখনো নিখোঁজ।
তিনি বলেন আমরা সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, তাদের পরিবারকে জানানো হয়েছে। এই ছাড়া বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে আমাদের বিভাগের সিনিয়র কয়েক জন শিক্ষক কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।