সরিষাবাড়ীতে মূল ভূমি দস্যু মোতাহার হোসেন মুক্তা ও তার কতিপয় অসাধু ব্যক্তির অভিযোগে সাধারণ গ্রাম বাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার ও তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দার ঝড় উঠেছে।জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ৪ নং আওনা ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের ভূমি দস্যুদের বংশধর মোঃ মুক্তা ও তার কতিপয় অসাধু ব্যক্তির অভিযোগে গ্রামের সাবেক মেম্বার লিটন তালুকদার সহ সাধারণ গ্রাম বাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিবাদ,ক্ষোভ ও নিন্দা এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে। এবিষয়ে আজ শনিবার কুমারপাড়া এসে জানা যায়,মোঃ মুক্তা পিতা মৃত আফতাব উদ্দিন কর্তৃক দাখিল কৃত অভিযোগে সাবেক দুই,দুবারের আওনা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার লিটন তালুকদার বিরুদ্ধে সাধারণ কৃষকদের নিকট থেকে চাঁদা বাজির যে অভিযোগ করা হয়েছে তাহা মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে গ্রামবাসী জানান। এবিষয়ে সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, আওনা ইউনিয়নের কুমারপাড়া মৌজার কুমারপাড়া গ্রামে বৈকন্ঠ চাকলাদার,শুরু ও মহিম নামের একটি সচ্ছল পরিবার বসবাস করতেন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তারা তাদের জমাজমি ভিটামাটি ছেড়ে শরণার্থী হয়ে ভারতে চলে যায়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ওই পরিবার আর বাংলাদেশে ফেরত আসে নাই। ১৯৭২ / ১৯৭৩ সালে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙ্গনে সমস্ত জমাজমি ভিটামাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এখন ঐ সমস্ত জমাজমি চর জেগে ওঠে ফসল উৎপাদন শুরু হয়েছে। কুমারপাড়া মৌজায় বৈকন্ঠ চাকলাদার পরিবারের প্রায় ৩০ একর জমি উল্লা কুমারপাড়া গ্রামের সাধারণ কৃষকগণ বর্গা কবিলত নামা মূলে চাষাবাদ করত। ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত না আসায় ওই ভূমি অর্পিত সম্পত্তির আওতায় চলে যায়। তখন কুমারপাড়া গ্রামের মোঃ মোতাহার হোসেন মুক্তা পিতা মৃত আফতাব উদ্দিন মেম্বার ,তার সহধর বড় ভাই মৃত বছির উদ্দিন ও রহম আলী পিতা মৃত ওমেশ হাজী সহ প্রায় ১০/১২ জনের একটি লাঠিয়াল বাহিনী মাধ্যমে সাধারণ কৃষকদের কাছ থেকে ওই জমি ছিনিয়ে নেয়। ঐ সমস্ত জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন মামলা মোকদ্দমা ও ঝগড়া বিবাদ চলতে থাকে। ১৯৮২-সালে জরীপের সময় সরকারি কোন প্রয়োজনিয় কাগজপত্র ছাড়া মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বেশ কিছু জমি রেকর্ড করে নেয়। কিন্তু এখন হতদরিদ্র পরিবারের কৃষকগণ তাদের জমি দাবি জানান এর এক পর্যায়ে গ্রামের মানুষের দাবী যে সমস্ত কৃষকদের নিকট থেকে জমি জোড় পূর্বক ছিনিয়ে নিয়েছিল মোঃ মোতাহার হোসেন মুক্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের দখল কৃত জমি সাধারণ মানুষের মাঝে অর্থাৎ যে সমস্ত কৃষক ঐ হিন্দু পরিবারের নিকট থেকে বর্গা কবুলিয়ত নামার মাধ্যমে চাষ করতেন তাদের দাবি ঐ জমি যেন তাদের দেয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতে সাবেক মেম্বার মোঃ লিটন তালুকদার সহ গ্রাম্য মাতব্বরদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে শুষ্ঠ সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে ভূমি পরিমাপ করা হয । এতে মোঃ মোতাহার হোসেন মুক্তা ও তার কতিপয় অসাধু ঝগড়াটে,দোদেল লোকঅহেতুক লিটন তালুকদার সহ যাদের বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে তাহা মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসুত এবং সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে বলে উপস্থিত গ্রামবাসীসহ লিটন তালুকদার জানান। এবিষয়ে গ্রামবাসী তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য যে , উক্ত গ্রামের মোঃ সুরুজ মিয়া, সুলতান,তারা মিয়া ও জেলাল মুসুল্লি বলেন, মোঃ মোতাহার হোসেন মুক্তার পিতা মৃত আফতাব উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা মূল ভূমি দস্যু ছিলেন বলে জানান। তাই তো গ্রামের মানুষের মাঝে মুখে মুখে রটনা চলছে কথায় আছে, চোরের মায়ের বড় গলা,সে খায় দুধ কলা। এ বিষয়ে গ্রামবাসী প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগ কারির শাস্তি ও সাধারণ কৃষকদের মাঝে জমি বন্টনের জোর দাবি জানিয়েছেন।