1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পাবনার ঈশ্বরদীতে নেসকোর প্রিপেইড মিটার স্থাপনের বিরুদ্ধে ২ ঘন্টা ঈশ্বরদী ব্লকেড কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিয়ামতপুরে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা কয়রার বিএনপি নেতা নুরুল আমিন বাবুল এর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ফরিদপুরে দুই উপজেলার গ্রামবাসীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, ভাংচুর-লুটপাট যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে কমনওয়েলথ মহাসচিব এর বৈঠক শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনীতে প্লাস্টিক–পলিথিন দূষণ প্রতিরোধে গণশুনানি অনুষ্ঠিত যশোরে জমি-বিরোধে হত্যা: দুই ভাইয়ের ফাঁসির আদেশ, এক নারী খালাস নৌবাহিনীর নবীন নাবিকদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত কাউখালীতে সরকার পরিবর্তনের পর ৩ ইউপি সদস্য নিরুদ্দেশ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে কুড়িগ্রামে খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ৩ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আইনি তদন্ত

কপোতাক্ষ নদে বৃটিশদের তৈরী ভাঙ্গা ব্রিজটি ইতিহাসের সাক্ষী

মেহেদী হাসান শিপলু
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৫ মে, ২০২৪
  • ৬০৭ বার পড়া হয়েছে

যশোরের চৌগাছার পাশ দিয়ে বয়ে চলা কপোতাক্ষ নদে আজও ঠাই দাঁদিয়ে আছে বৃটিশদের হাতে তৈরী ব্রিজের ধ্বংশাবশেষ। নদ খননের কারনে ঐতিহাসিক এই থাকবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শংসয়। তবে ভবিষ্যাত প্রজন্মের জন্য এটিকে সংরক্ষন করা জরুরী এমনটিই মন করছেন সচেতন মহল। চৌগাছা পৌর সদরের পশ্চিমপাশ দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ। বৃটিশ শাসনামলে খরস্রোতা কপোতাক্ষ নদ পারাপারের জন্য বর্তমান বড় মাছ বাজারের নিচে নির্মান করা হয় একটি সুবিশাল ব্রিজ। জনশ্রুতি আছে কপোতাক্ষের প্রবল স্রোতের কারনে ইট আর চুন সুড়কি দিয়ে নির্মিত ব্রিজ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি, স্রোতের দাপটে তা উপড়ে যায়। নদের পশ্চিম পাশে
ব্রিজের অবশিষ্ঠ আজও বিদ্যামন।

নদ খননের ফলে ব্রিজের ভাঙ্গা অংশ থাকবে কিনা দেখা দিয়েছে শংসয়। কংশারীপুর গ্রামের দামোদার
আলী, তারিনিবাস গ্রামের বয়োবৃদ্ধ ফজলুর রহমান, স্বরুপদাহ গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, কপোতাক্ষ নদ তথা নদের ভাঙ্গা ব্রিজ
এখন শুধুই স্মৃতি। দেশ স্বাধীনের পরেও আমরা দেখেছি কপোতাক্ষে অঢেল পানি। তারও আগের কথা বর্তমানে যেখানে ব্রিজটি ভেঙ্গে
আছে সেখানে একটি দোয়া আছে। সচারচার মানুষ স্থানটিতে যেতেন না। জেলেরা মাছ ধরতে গেলেও দোয়ার পাশ দিয়ে চলাচল
করতো। বাবা দাদাদের মুখে শুনেছি বৃটিশরা তাদের সুবিধার্তে দোয়ার পাশ দিয়ে ওই ব্রিজটি নির্মান করেন। কিন্তু বেশি দিন
স্থায়ী হয়নি, পানির স্রোত দাপটে ব্রিজ উপড়ে যায়। এরপর বর্তমানে চৌগাছা ব্রিজের সন্নিকটে খেয়া পারাপার শুরু হয়।বর্ষা মৌসুমে কংশারীপুর মহল্লা ছাড়িয়ে যেত পানি। সেখান থেকে মানুষ খেয়া পারাপার হতেন। নদের ওই সময়ের কাক চক্ষু পানি আর মাছের সমাহার আজ শুধুই অতীত। পৌরসভার কালিতলা মহল্লার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ, রবিন্দ্র নাথ বলেন, কপোতাক্ষ নদ তার যৌবন বহু আগেই হারিয়েছে। এখন নদ খনন চলছে, দেখে বেশ ভালই লাগে।

নদটি যদি পরিপূর্ণ খনন হয়, তাহলে এর হারানো যৌবন হয়ত ফিরে আসবে না তবে কিছুটা হলেও সকলের কাছে ভাল লাগবে।স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে তারা বলেন, বৃটিশদের শাসন শোসনের সময় চৌগাছাতে তারা অনেক কিছুই নির্মান করেন। তারমধ্যে ছিল কপোতাক্ষের ব্রিজ। কিন্তু পানির স্রোতের কারনে তা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি এমনটিই শুনেছি। ব্রিজের যে ভাঙ্গা অংশটুকুও আজও দৃশ্যমান এটি সংরক্ষন করা জরুরী কেননা এই ধ্বংসাবশেষ থেকে আগামী প্রজন্ম আনেক কিছুই জানতে বা শিখতে পারবে। চৌগাছা পৌরসভার মেয়র নুর উদ্দিন আল মামুন হিমেল বলেন, যেহেতু কপোতাক্ষ নদের পশ্চিম পাশে আমরা একটি শিশুপার্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন।সে জন্য দর্শনীয় স্থান হিসেবে ভাঙ্গা ব্রিজ নদে রাখার ব্যাপারে আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com