ছাতিয়ানে নতুন ক্লিনিক পরিদর্শন কালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে নবনির্মিত রুহিনা খাতুন কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা পিযুষ কুমার সাহা ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হারুন অর রশিদ। এসময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন,ক্লিনিকগুলোতে অস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সংক্রান্ত বিভিন্ন উপকরণসহ বিনামূল্যে ৩০ এর ও বেশি ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
শুক্রবার ব্যতীত সপ্তাহে ছয় দিন সিএইচসিপির কমিউনিটি ক্লিনিকে উপস্থিত থেকে সেবা প্রদান করেন। স্বাস্থ্যকর্মী এবং পরিবার কল্যাণ সহকারীরা সপ্তাহে তিন দিন করে কমিউনিটি ক্লিনিকে বসেন। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই সকাল ৯ টা থেকে বেলা ৩টা পর্য়ন্ত সেবা দেওয়া হয় ক্লিনিকে।এছাড়াও এসিল্যান্ড হারুন অর রশিদ বলেন,কমিউনিটি ক্লিনিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশটি বিশেষ উদ্যোগের একটি। কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্যসেবার সাফল্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা দেশে-বিদেশে নন্দিত। গ্রামীণ সড়কের পাশে প্রায়ই চোখে পড়ে একেকটি কমিউনিটি ক্লিনিক।
উল্লেখ্য গ্রামীণ জনপদের প্রতি ৬০০০ মানুষের জন্য একটি করে ক্লিনিক তৈরি করা হয়েছে। ২০ থেকে ৩০ মিনিটের হাঁটার দূরত্বে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যাবে এমন পরিকল্পনায় ক্লিনিকগুলোর স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম দিকে ৫ শতাংশ জায়গায় ক্লিনিকগুলো তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়ছে। এ জন্য এখন ৮ শতাংশ জমির ওপর নতুন মডেলের ক্লিনিক নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ভবনে চারটি করে রুম। দুটি স্বাস্থ্যকর্মীদের বসার জন্য, একটি রোগীদের ওয়েটিং রুম, আরেকটি লেবার (ডেলিভারি) রুম। বাথরুম থাকছে দুটি। আধুনিক মানের একটি ক্লিনিক হিসেবে গড়ে উঠছে প্রত্যন্ত গ্রামের ভেতরের এসব ক্লিনিক।গ্রামীণ জনগণের অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসাসেবা বিতরণের প্রথম স্তর হলো কমিউনিটি ক্লিনিক। পরে অতিথিরা ছাতিয়ান আব্দুল রফিক বিশ্বাস কলেজে রুহিনা খাতুনের মৃত্যুবার্ষিকী ও দোয়া অনুষ্ঠানে যোগদানে এ সময় আব্দুল্লাহ এইচ কাফির সভাপতিতে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় চেয়ারম্যান কবির হোসেন বিশ্বাস, ডাক্তার ওয়াজেদ আলি,অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।