মঙ্গলবার (৩ জুন, ২০২৫) সকাল ১০টায় কয়রা উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এই সভায় ঈদুল আযহায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, সুন্দরবনে হরিণ শিকার ও বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন রোধ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ জিএম ইমদাদুল হক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের চলমান কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং আসন্ন ঈদুল আযহায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় কুমার সরকার এবং উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার সমীর কুমার সরকার সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন এবং অবৈধভাবে হরিণ শিকার বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও কঠোর নজরদারির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তাঁরা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার বর্মন শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদকবিরোধী সচেতনতা তৈরিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুল আলম জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ ইস্তিয়াক আহমেদ এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোঃ মামুনার রশিদ নিজ নিজ আওতাধীন বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুজিদ কুমার বৈদ্য চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয়ের গুরুত্বের কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ মোঃ মিজানুর রহমান, খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান। তাঁরা জনগণের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। পল্লি বিদ্যুতের ডিজিএম মোঃ নওশের আলী ঈদুল আযহার সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মোঃ আব্দুল আহাদ যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সেবার আশ্বাস প্রদান করেন। সভায় উপস্থিত বক্তারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে এবং এলাকার সার্বিক নিরাপত্তায় সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।