দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে ঘটল এক তাৎপর্যপূর্ণ পট পরিবর্তন। দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত সাবেক সদস্য সচিব নুরুল আমিন বাবুলের বহিষ্কারাদেশ অবশেষে প্রত্যাহার করেছে বিএনপি। গত রোববার (২৩ নভেম্বর) রাতে কেন্দ্রীয় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। এই সংবাদ প্রচার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কয়রা উপজেলা বিএনপিতে যেন আনন্দের বান ডাকে। বাবুলের অনুসারী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে সদর এলাকায় এক উচ্ছ্বাসভরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে তারা মিষ্টি বিতরণ করে নিজেদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নুরুল আমিন বাবুলকে বিএনপির থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এই বহিষ্কারাদেশের পর থেকেই বাবুল সমর্থকরা স্থানীয় রাজনীতিতে বেশ সরব হয়ে ওঠেন। তাঁর অনুসারীরা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন, যা স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট আলোচিত ছিল।কেন্দ্রীয় বিএনপির বিজ্ঞপ্তিতে শুধু কয়রার বাবুল নন, একই সঙ্গে সারাদেশে এই ধরনের ১৮ জন নেতাকর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়েছে। কেন্দ্র এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দলের অভ্যন্তরে বৃহত্তর ঐক্য ফিরিয়ে আনার এবং কঠিন সময়ে পরীক্ষিত নেতাদের গুরুত্ব দেওয়ার বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কয়রা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোতাসিম বিল্যাহ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “কেন্দ্রীয় বিএনপি নুরুল আমিন ভাইয়ের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের মাধ্যমে একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর মতো একজন দুর্দিনের কাণ্ডারী এবং পরীক্ষিত নেতার বিএনপিতে এই মুহূর্তে অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল।” নুরুল আমিন বাবুলের দলে ফেরা কয়রার স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে আশা করছেন সাধারণ নেতাকর্মীরা। একই সাথে, দীর্ঘদিন ধরে চাপা থাকা অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে বিএনপি এখন আরও সংগঠিত হয়ে মাঠে ফিরবে বলেও তাদের প্রত্যাশা।