কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে এক বসতবাড়ি ধ্বসের মুখে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় মোঃ কুদ্দুস হাং এর বিরুদ্ধে। তিনি প্রতিবেশী মোঃ ইব্রাহিম মাতুব্বর ছগিরের জমির সীমানা ঘেঁষে উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত গভীর পুকুর খনন করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী ইব্রাহিম মাতুব্বর জানান, ২০১৭ সালে তিনি ও তার ভাই অমিতাভ ও অজিতাভের নিকট হতে সোনাতলা মৌজার এস.এ ২১৩ খতিয়ানের বিভিন্ন দাগ হইতে ০.৭০ শতাংশ জমি সাব কবলা দলিলের মাধ্যমে ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ওই জমিতে বসতঘর নির্মাণ করে পরিবারসহ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছিলেন। তবে প্রতিবেশী কুদ্দুস হাং একই খতিয়ান হতে জমি ক্রয় করে তার জমির পাশে গভীরভাবে পুকুর খনন শুরু করে। এতে বর্ষার পানি ও প্রাকৃতিক কারণে ইব্রাহিমের ঘরের মাটি ধসে পড়ে কুদ্দুসের পুকুরে চলে যায়। ইতোমধ্যে তার দুটি টিনের ঘর ও বিল্ডিংয়ের পিলারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেন ইব্রাহিম। স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় একাধিকবার বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা হলেও বিবাদী কারো কথাই শোনেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি কুদ্দুস হাং বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে বলে, “বিল্ডিং আমার হাত দিয়া ভাংতে হইবে না, এমনিতেই ভাঙি যাইবে।” এ ঘটনার পর শুক্রবার জুমার নামাজের সময় এলাকার মুসল্লিগণের উপস্থিতিতে অভিযোগ উত্থাপন করা হলে খানকার মজলিস বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। তবে কুদ্দুসের একগুঁয়েমির কারণে আলোচনা ব্যর্থ হয় এবং স্থানীয়রা ভুক্তভোগীকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত কুদ্দুস মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। ইব্রাহিম মাতুব্বর স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।