শনিবার কলারোয়া পৌরসভার অডিটোরিয়ামে কলারোয়া মারকাযুল ইলমী ওয়াদ- দাওয়াহ্ মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর মোঃ কামাল হোসেন মোল্লার সভাপতিত্ত্বে অভিভাবক ও সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও পরামর্শ প্রদান করেন দূর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক ড. খান মোঃ মিজানুল ইসলাম সেলিম। প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন – মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ইসলামের সকল শিক্ষা মানব জীবনে গ্রহন ও পালন করার ফলেই মানুষ জ্ঞানী এবং শ্রেষ্ঠ জীব হয়েছে। আর এই জ্ঞান কে অস্বীকার করার কারনে ইবলিশ শয়তানে পরিনত হয়েছে। সেজন্য পরিবার থেকে ইসলামি শিক্ষা গ্রহন করার তাগিদ দিয়ে জীবন গড়ার পরামর্শ দেন শিক্ষার্থীদের। নৈতিকতা, ধর্মীয় শিক্ষা ও পারিবারিক শিক্ষা মানবজীবন কে গঠনে মূল ভুমিকা রাখে। কলারোয়া মারকাযুল ইলমী ওয়াদ- দাওয়াহ্ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে কলারোয়া কয়লা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আঃ রকিব মোল্লা বলেন, এলাকার সুধী,অভিভাবক রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ কে নিয়ে মতবিনিময় করে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখতে চান এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এছাড়া বেত্রাবর্তী আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ রাশেদুল হাসান কামরুল বলেন, বর্তমান মিড়িয়াতে মাদ্রাসার শিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার দেখা যায়, সেইরকম কোন অপ্রীতিকর কোন ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। শিক্ষক বা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সম্বনয়ে আধুনিক এবং বিজ্ঞান মনস্ক শিক্ষা দিয়ে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। কলারোয়া সরকারি জি,কে,এম,কে পাইলট হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ তামিম আজাদ মেরিন বলেন,ধর্মীয় শিক্ষায় একমাত্র মানব জীবনে ইহকাল ও পরকালের পাথেয় সেজন্য কওমি শিক্ষা গুরুত্ব অপরিসীম সে জন্য কলারোয়া মারকাযুল ইলমী ওয়াদ- দাওয়াহ্ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও পরিবেশগত শিক্ষার মান উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতার জন্য পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। আরো বক্তব্য রাখেন মোঃ আনারুল ইসলাম, মোঃ মুহিত হোসেন, মাদ্রাসার সুপার মোঃ আঃ সাত্তার,প্রভাষক মোঃ মতিউর রহমান। এবং কয়েকজন অভিভাবক অত্র মাদ্রাসার বর্তমান শিক্ষার মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে উন্নয়ন মূলক পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন অতিথি শিক্ষক কলারোয়া উপজেলা মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওঃ ক্বারী জাহাঙ্গীর হুসাইন। পরে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় হামদ,নাতে – রাসুল,বাংলা ও ইংরেজি কবিতা আবৃত্তি, মহান আল্লাহর ৯৯ নামের সিফাত,কোরআনে বর্ণিত ২৫ জন নবী ও রাসুলের নাম মুখস্থ, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বংশ পরস্পরায় হযরত আদম (আঃ) নাম মুখস্থ, মাহগ্রন্থ আল কোরআনের ১১৪ টি সুরার নাম মুখস্থ করে পরিবেশিত করা হয়। সকল পরিবেশনায় উপস্থিতি গন মনযোগ সহকারে শুনেন এবং ভূয়সী প্রশংসা করেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শিক্ষাগুরু হযরত মাওলানা গোলাম রসুল শাহী। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিক্ষক শেখ শাহাজাহান আলী শাহিন।