রংপুরের কাউনিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দোকান ঘর দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। দোকান ঘরের জামানতের টাকা ফেরত দেওয়াতো দুরের কথা উল্টো দোকান ঘর লিখে নেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন দাবি ভুক্তভোগীর।
রোববার (১৩ জুলাই) নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ইউছুফ আলী এ অভিযোগ করেন। তিনি উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে ইউছুফ আলী বলেন, তিনি একজন পেশায় ড্রাইভার এবং বাস্তভিটা ছাড়া সহায়-সম্বলহীন অসুস্থ মানুষ। ২০১৫ সালে কাউনিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮নং দোকান ঘরটি তৎকালীন বরাদ্ধকৃত মালিক ফাতেমা বেগমের নিকট থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা জামানতমূলে লিখিত ভাবে ক্রয় করেন। ওই সময় দোকান ঘরের কাজ অসমাপ্ত ছিল। ওই বছরেই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি দোকান ঘরটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ভাড়ার চুক্তিপত্র তার নামে সম্পাদন করে দেয়।
তিনি বলেন, দোকান ঘরটির অসমাপ্ত কাজ করতে গেলে পূর্বের মালিক ফাতেমা খাতুনের ছেলে আ.লীগ নেতা কাজল মিয়া তার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কাজে বাঁধা দেন। এরপর গত দুই সপ্তাহ আগে পুনরায় দোকান ঘরের কাজ করতে গেলে কাজল মিয়ার যোগসাজশে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জামিনুর রহমান, কাজলের ভগ্নিপতি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহিম, বালাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি আলম ব্যাপারীসহ সাঙ্গপাঙ্গরা দোকান ঘরের কাজ করতে বাঁধা দেন।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত প্রভাবশালীরা তাকে মাত্র ২০ হাজার টাকা নিয়ে দোকান ঘরটি লিখে দিতে বলেন। না হলে তার নামে ১৫-২০টি মামলায় ফাঁসানো হবে এবং তাকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেন। এরইমধ্যে তারা দলীয় প্রভাবে দোকান ঘরটি অন্যত্র বিক্রি করেছে। বিএনপির ওই নেতারা তাকে জীবন নাশেরও হুমকি প্রদান করে আসছে। বর্তমানে তিনি তার পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট আইনী সহায়তা দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলন ইউছুফ আলীর স্ত্রী সালমা বেগম, ভাতিজা রানা মিয়া ও ভাগ্নে ভুট্টু মিয়া উপস্থিত ছিলেন।