কাপ্তাই বাঁধের পানি পরিমাণমতো না ছাড়ায় এবং সাম্প্রতিক ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বাঁধের স্পিলওয়ে দিয়ে পর্যাপ্ত পানি অপসারণ না করায় নদী ও নিচু এলাকাগুলো তলিয়ে গেছে। গত তিন-চার দিনে পানি আশঙ্কা জনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।এতে প্রায় ১০-১৫ হাজার মানুষ গৃহহীন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই বাঁধের কর্তৃপক্ষ সময়মতো পানি ছাড়ার পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বাঁধের পানির স্তর বিপদসীমা অতিক্রম করে। এর প্রভাব পড়েছে পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে। ইতিমধ্যেই বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার বেশ কয়েকটি স্কুল ও সরকারি ভবনে পানি ঢুকে পড়েছে। ছবিতে বিদ্যমান মাহিল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে পানি প্রবেশ করেছে।পাশবর্তী মাহিল্যা উচ্চ বিদ্যালয়েও অফিস কক্ষ সহ বিদ্যালয়ের মূল ভবনে পানি প্রবেশ করেছে।এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ভয়াবহ এই পরিস্থিতির জন্য স্থানীয় জনগণ কাপ্তাই বাঁধ কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন। তাদের অভিযোগ, যদি সময়মতো স্পিলওয়ে দিয়ে অন্তত ২-৩ ফুট পানি ছাড়া হতো, তাহলে এই ধরনের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতো না। দ্রুত পানি অপসারণের ব্যবস্থা না করা হলে রাঙ্গামাটি জেলার তিন-চারটি উপজেলার বিশাল সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয়রা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।